প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসিরউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ((চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স) ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসিরউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ((চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স) ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে

বাংলাদেশে নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকে সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র: ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ((চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স) ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন বলেছেন, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোনো রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি বা নির্দিষ্ট ফলাফলের প্রতি সমর্থন জানায় না। এটি একান্তই বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসিরউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন। গত বছরের ৫ আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্রথম সিইসির সঙ্গে বৈঠক করলেন মার্কিন দূতাবাসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।

ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন বলেন, ‘অনেক গুজব ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই আমি স্পষ্ট করতে চাই, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অবস্থান কী। আমরা অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগকে সমর্থন করি, যাতে আগামী বছরের শুরুতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসিরউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ((চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স) ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে

যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না উল্লেখ করে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জ্যাকবসন বলেন, ‘তবে তাদের লক্ষ্য ও অঙ্গীকার বুঝতে আমরা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। একইভাবে কোনো রাজনীতিককেও আমরা সমর্থন করি না, কিন্তু তাঁদের উদ্দেশ্য জানার জন্য তাঁদের সঙ্গে দেখা করি। আমরা কোনো ফলাফলকেই সমর্থন করি না—এটা একান্তই বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত।’

মার্কিন দূত আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি, সেই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে এবং বাংলাদেশের জনগণের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে একটি সফল গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে।’

শেষে বাংলাদেশে একটি সফল নির্বাচনের জন্য শুভকামনা জানান তিনি।