জুলাই গণ-অভ্যুত্থান

শহীদের তালিকায় থাকা সেই ৫২ জনের তথ্য যাচাই করতে ডিসিদের চিঠি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ না হয়েও প্রজ্ঞাপনে নাম এসেছে—প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত এমন ৫২ জনের তথ্য পুনরায় যাচাই করবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে তথ্য যাচাই করতে গতকাল মঙ্গলবার সব বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে মন্ত্রণালয়। চিঠি পাওয়ার তিন কর্মদিবসের মধ্যে চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে সংশ্লিষ্ট জেলার জুলাই যোদ্ধা ও শহীদেরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত থেকে আহত বা শহীদ হয়েছেন কি না, তা যাচাই করতে বলা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মতিউর রহমান স্বাক্ষরিত ওই চিঠির সঙ্গে প্রথম আলোর প্রতিবেদনের অনুলিপি এবং ওই ৫২ জনের তালিকা সংযুক্ত করা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের গেজেট প্রকাশ এবং ভাতাসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

১৫ সেপ্টেম্বর ‘জমির বিরোধে খুন, দুর্ঘটনায় মৃত্যু, তবু তাঁরা জুলাই শহীদ’ শিরোনামে প্রথম আলোতে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপা হয়। পরদিন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট প্রকাশ এবং তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আজ বুধবার জুলাই শহীদদের তালিকা নিয়ে কথা হয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের সঙ্গে। নিজ কার্যালয়ে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শহীদদের পুরো তালিকা পুনরায় যাচাই-বাছাই করা হবে। কেবল প্রকৃত শহীদেরাই তালিকায় স্থান পাবেন।

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এ শহীদের সংজ্ঞা সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। বলা হয়েছে, শহীদ হিসেবে গণ্য হবেন তাঁরা, যাঁরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে তৎকালীন সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা ওই সময়ে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সদস্যদের আক্রমণে মৃত্যুবরণ করেছেন।

গত ২ আগস্ট জুলাই শহীদের তালিকা থেকে আটজনের নাম বাদ দেওয়া হয়। এখন প্রজ্ঞাপনভুক্ত শহীদের সংখ্যা ৮৩৪। এই তালিকায় থাকা ৫২ জন সংজ্ঞা অনুযায়ী শহীদদের তালিকায় পড়েন না বলে বেরিয়ে এসেছে প্রথম আলোর অনুসন্ধানে।