
দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণের সময় চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি এলাকায় একাধিক পাহাড় কেটে পরিবেশের ক্ষতি করায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ কোটি টাকা জরিমানা করেছিল পরিবেশ অধিদপ্তর। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে প্রতিষ্ঠান দুটির একটিকে জরিমানা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। অন্য প্রতিষ্ঠানটির ক্ষতিপূরণের প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করার আদেশ দিয়ে পরবর্তী শুনানিতে বিষয়টি নিষ্পত্তির কথা বলা হয়। তবে বিষয়টি পরে ধামাচাপা দেওয়া হয়।
প্রতিষ্ঠান দুটি হলো তমা কনস্ট্রাকশন ও মেসার্স হাসান ইন্টারন্যাশনাল। তৎকালীন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান দুটিকে ওই ছাড় দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যদিও পাহাড় কাটা ও খাল ভরাট করার মাধ্যমে অপরাধ সংগঠনের অভিযোগে করা মামলায় মেসার্স হাসান ইন্টারন্যাশনাল চট্টগ্রামের পরিবেশ আদালতের কাছে দায় স্বীকার করেছে। প্রতিষ্ঠানটিকে ১ লাখ ২০ হাজার জরিমানা করেন আদালত। তমা কনস্ট্রাকশনকেও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অথচ সাবেক সচিব মোস্তফা কামাল জরিমানা মওকুফের কারণ হিসেবে বলেছিলেন, মেসার্স হাসান ইন্টারন্যাশনাল পাহাড় কাটায় জড়িত নয়। আর তমা কনস্ট্রাকশনের আপিল আবেদনের শুনানিতে তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরকে ক্ষতিপূরণের প্রকৃত মূল্যায়ন ও কারিগরি মূল্যায়ন উপস্থাপন করার কথা বলেছিলেন। পরবর্তী শুনানির দিন আপিল নিষ্পত্তি করা হবে বলে আদেশ দেওয়া হয়েছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, তমা কনস্ট্রাকশনের পরিবেশের ক্ষতির প্রকৃত মূল্যায়নে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার মতো আসে। ফলে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়।
এটা ক্ষমতার ভয়াবহ অপব্যবহার। পরিষ্কারভাবে বোধগম্য যে দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সচিবের যোগসাজশ ও সম্পৃক্ততায় এটি (জরিমানা মওকুফ) হয়েছে।ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, টিআইবি
পরিবেশ অধিদপ্তরের ক্ষতিপূরণসংক্রান্ত বিধি অনুযায়ী, ১ বর্গফুট থেকে ১ একর পর্যন্ত পাহাড় কাটায় প্রতি বর্গফুটের জন্য ১০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা যায়। এক একরের বেশি হলে প্রতি বর্গফুটের জন্য জরিমানার অঙ্ক দাঁড়াবে ১ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। আর কারিগরি মূল্যায়ন (টেকনিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট) হলো অনুমোদিত সীমার (অ্যালাইনমেন্ট) বাইরে গিয়ে কতটুকু পাহাড় কাটা হয়েছে, তার বিবরণ। চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০১ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে। ওই ১০১ কিলোমিটারের মধ্যে ১১ দশমিক ৯২ কিলোমিটার এলাকায় পাহাড় কাটার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, সেটিই অ্যালাইনমেন্ট।
তমা কনস্ট্রাকশন ও মেসার্স হাসান ইন্টারন্যাশনালকে ছাড়া দেওয়ার ঘটনাটি ২০২২ সালের জুন মাসের। সে সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আপিল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ছিলেন মোস্তফা কামাল। তিনি প্রতিষ্ঠান দুটিকে ছাড় দেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাঁকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। তিনি তখন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের দায়িত্বে ছিলেন।
সম্প্রতি পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মেসার্স হাসান এন্টারপ্রাইজের জরিমানা মওকুফ করার নথিপত্র খুঁজে পেয়েছেন। অনাদায়ি জরিমানার নথি খুঁজতে গিয়ে তমা কনস্ট্রাকশনের ধামাচাপা দেওয়া বিষয়টিও সামনে এসেছে। এরপর নতুন করে তমা কনস্ট্রাকশনকে শুনানির জন্য ডাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এখনো দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেসার্স হাসান ইন্টারন্যাশনালকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে চূড়ান্ত রায়ে। এটা নিয়ে আর কিছু করার নাই। মূল ঠিকাদার তমা কনস্ট্রাকশনও যেহেতু জরিমানার আওতায় ছিল, আমরা প্রতিষ্ঠানটিকে শুনানির জন্য নতুন করে ডাকব।’
দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ দুই ভাগে বিভক্ত করে ঠিকদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে দোহাজারী-চকরিয়া অংশের কাজ করেছে বাংলাদেশের তমা গ্রুপ এবং চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। এই অংশের রেলপথ নির্মাণের জন্য বালু ও মাটি সরবরাহের কাজ কক্সবাজারের কলাতলী এলাকার মেসার্স হাসান ইন্টারন্যাশনালকে দিয়েছিল তমা কনস্ট্রাকশন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তমা কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী আতাউর রহমান ভূঁইয়া দেশ ছেড়ে গেছেন। এ জন্য তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তমা কনস্ট্রাকশনের ওয়েবসাইটে থাকা টেলিফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে ওই নম্বরে কল ঢোকেনি।
যেভাবে জরিমানা মওকুফ
পরিবেশ অধিদপ্তরের নথি বলছে, লোহাগাড়ার চুনতি ইউনিয়নে প্রায় ২০টি পাহাড় কেটে ২ কোটি ২০ লাখ ঘনফুট মাটি সংগ্রহ করে মেসার্স হাসান ইন্টারন্যাশনাল। এ ক্ষেত্রে রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের জন্য অনুমোদিত পাহাড় কাটার সীমা লঙ্ঘন করা হয়। এ ছাড়া রাঙ্গাখাল নামের একটি খাল ভরাট করা হয়। বিষয়টি নিয়ে ২০২০ সালের ২৩ অক্টোবর ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।
তমা কনস্ট্রাকশন ও মেসার্স হাসান ইন্টারন্যাশনালকে ছাড় দেওয়ার ঘটনাটি ২০২২ সালের জুন মাসের। সে সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আপিল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ছিলেন মোস্তফা কামাল। তিনি প্রতিষ্ঠান দুটিকে ছাড় দেন।
নথি অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য, ছবি এবং প্রতিষ্ঠানের চুক্তি ও অন্যান্য কাগজপত্র পর্যালোচনা করে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতির বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ জন্য বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর ৭ ধারায় মেসার্স হাসান ইন্টারন্যাশনাল ও তমা কনস্ট্রাকশনকে ৫০ কোটি টাকা জরিমানা করা হলো। জরিমানার টাকা পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
একই বছরের ১৮ জানুয়ারি অধিদপ্তরের ওই রায়ের বিরুদ্ধে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আপিল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের কাছে আপিল করে মেসার্স হাসান ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃপক্ষ। আপিলে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, তিনি সামান্য ব্যবসায়ী। তমা কনস্ট্রাকশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে এক লাখ ঘনফুট বালু সরবরাহের কার্যাদেশ পেয়েছেন। আপিলে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকের বিরুদ্ধে তাঁর বক্তব্য না নিয়ে জরিমানা করার অভিযোগও করেন ইলিয়াছ।
২০২২ সালের ১৬ জুন ওই আপিলের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে ইলিয়াছের বক্তব্য এবং পাহাড় কাটায় আরেক অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশনের দেওয়া সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আপিল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল জরিমানা মওকুফের সিদ্ধান্ত দেন। ওই সিদ্ধান্তে বলা হয়, মেসার্স হাসান ইন্টারন্যাশনাল পাহাড় কাটায় ও খাল ভরাটে জড়িত নয়।
মেসার্স হাসান ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ ইলিয়াছ প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাহাড় কাটার বিষয়টি রেলওয়ে ও তমার বিষয়। আমি কিছুতে ছিলাম না। আপিল করেছি। নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি। আমাকে খালাস করে দিয়েছে।’
মামলা দায়েরে দেরি
পাহাড় কাটা ও খাল ভরাটের ঘটনায় তমা কনস্ট্রাকশন ও মেসার্স হাসান ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের নভেম্বরে মামলা করে চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদপ্তর।
পরিবেশের ক্ষতির আর্থিক মূল্য হিসেবে ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারি তমা কনস্ট্রাকশন ও মেসার্স হাসান ইন্টারন্যাশনালকে ৫০ কোটি টাকা জরিমানা করেছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের (চট্টগ্রাম) তৎকালীন পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন। অথচ মামলা করা হয় এর ৯ মাস পর, নভেম্বরে। এ মামলায় গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করেন চট্টগ্রামের পরিবেশ আদালত।
কেন এই দেরি, সে ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, তৎকালীন পরিচালক মোয়াজ্জম হোসাইন জরিমানা করার পাশাপাশি তমা কনস্ট্রাকশন ও মেসার্স হাসান ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলা অফিসকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর জানুয়ারিতেই মোয়াজ্জম হোসাইনকে ভাসানচরে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) হিসেবে বদলি করে সরকার। পরের মাসে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে নতুন পরিচালক হিসেবে যোগ দেন মফিদুল হক। এরপর নভেম্বরে তমা কনস্ট্রাকশন ও মেসার্স হাসান ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে পরিবেশ আদালতে মামলা করা হয়।
মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন বর্তমানে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মেসার্স হাসান ইন্টারন্যাশনালসহ পাহাড় কাটায় জড়িতদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়েছে। তাদের কাগজপত্র দাখিল ও তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করারও সুযোগ দেওয়া হয়েছে। জেলা, অঞ্চল ও ঢাকার প্রধান কার্যালয় থেকে সরেজমিনে তদন্ত করে পাহাড় কাটার ঘটনা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। সে জন্য তাদের জরিমানা করা হয়।
মোয়াজ্জম হোসাইন আরও বলেন, নির্ধারিত অ্যালাইনমেন্টের (সীমা) বাইরে গিয়ে পাহাড় কাটার বিষয়টি সবার তদন্তে প্রমাণিত হয়েছিল। ওই সময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনও পাহাড় কাটায় তাদের জরিমানা করেছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২০ সালের অক্টোবরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তমা কনস্ট্রাকশন ও মেসার্স হাসান ইন্টারন্যাশনালকে জরিমানা করেছিল জেলা প্রশাসন।
পাহাড় কাটা ও খাল ভরাটের ঘটনায় তমা কনস্ট্রাকশন ও মেসার্স হাসান ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের নভেম্বরে মামলা করে চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদপ্তর।
জরিমানা মওকুফের সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আপিল কর্তৃপক্ষের সদস্য ছিলেন মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব কেয়া খান। এখন তিনি মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। কেয়া খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘জরিমানা মওকুফের পূর্ণ ক্ষমতা ছিল তৎকালীন সচিবের। আমরা শুধু সদস্য হিসেবে থাকতাম। আমাদের সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না।’ মেসার্স হাসান এন্টারপ্রাইজকে অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা নেই বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সাবেক সচিব মোস্তফা কামালের মুঠোফোনে কল দেওয়া হয়। খুদে বার্তা (এসএমএস) পাঠানো হয়। তবে তাৎক্ষণিক সাড়া পাওয়া যায়নি। দুদিন পর ২০ মে খুদে বার্তার জবাব দেন মোস্তফা কামাল। সেখানে তিনি বলেন, বিষয়টি ঠিক মনে করতে পারছেন না। সংশ্লিষ্ট অফিসে এটার ফাইল আছে। সেখানে যোগাযোগ করে তথ্য নিতে পারেন।
‘ক্ষমতার ভয়াবহ অপব্যবহার’
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা ক্ষমতার ভয়াবহ অপব্যবহার। পরিষ্কারভাবে বোধগম্য যে দুটি প্রতিষ্ঠানের (তমা কনস্ট্রাকশন ও মেসার্স হাসান ইন্টারন্যাশনাল) সঙ্গে সচিবের যোগসাজশ ও সম্পৃক্ততায় এটি হয়েছে। এ দুটি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হিসেবে সচিবকে বিবেচনা করা উচিত।’
সাবেক সচিব মোস্তফা কামালের সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তদন্ত করা উচিত বলে মনে করেন ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, মোস্তফা কামাল এককভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না, সেটা জানতে গভীরতর তদন্ত প্রয়োজন। পাহাড় সুরক্ষা দেওয়া পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সরাসরি এখতিয়ারভুক্ত, সে জায়গায় মন্ত্রীর অগোচরে বা অবহিত করা ছাড়া সচিব এ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। মন্ত্রীর গোচরে এনেও যদি এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেটাও অপরাধ। এ ঘটনায় জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের তৎপর হওয়া উচিত।