
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জেলা প্রশাসক (ডিসি) বদলির কাজটি লটারির মাধ্যমে করা যায় কি না, সেটি ভেবে দেখার বিষয়ে আলোচনা হলেও এই নিয়োগ সেভাবে হচ্ছে না। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, কোনো দিন লটারির মাধ্যমে সিভিল সার্ভিসে পদায়ন হয় না, এখনো হচ্ছে না, হবে না।
আজ বুধবার সচিবালয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমান এ কথা বলেন। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে চার হাজার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেন, এর মধ্যে ৫০ শতাংশ নিয়োগ হবে সরাসরি এবং ৫০ শতাংশ নিয়োগ হবে পদোন্নতির মাধ্যমে। এ বিষয়ে বিধিমালা সংশোধনের কাজেই এসেছিলেন আইজিপি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) রদবদল করা হবে। আর এসব রদবদল লটারির মাধ্যমে করা যায় কি না, সেটি ভেবে দেখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। গত ১০ জুলাই রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে নির্বাচনের জন্য নানা ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে লটারির মাধ্যমে রদবদলের বিষয়টিও আলোচনা হয়েছিল।
জেলা প্রশাসক পদে রদবদল লটারির মাধ্যমে করা হচ্ছে কি না সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আজ সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘আপনারা যে প্রশ্ন করলেন, কথা হলো কোনো দিন লটারির মাধ্যমে সিভিল সার্ভিসে পোস্টিং হয় না, এখনো হচ্ছে না, হবে না।’ তিনি বলেন, এখন অভিযোগের বিপরীতে ডিসি প্রত্যাহার করা হচ্ছে, বাছাই তালিকা (ফিট লিস্ট) আছে। মাঝে কিছু হয়েছে, সামনে আরও হবে। যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া জেলা প্রশাসকদের নির্বাচনের আগে তুলে আনা হবে বলেও জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব।
বদলি নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পরেই আমরা সবাই নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যাই, প্র্যাকটিস দেখেছেন, তখন এ বদলিগুলো করবে নির্বাচন কমিশন।...সেখানে কারও কোনো বলার থাকবে না, তদবির থাকবে না। যাঁকে যেখানে দেওয়া হবে, সেখানে যেতে বাধ্য।’
কারও পক্ষে এদিক–ওদিক করলে ব্যবস্থা
সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে মাঠ প্রশাসনের ভূমিকা ও নির্দেশনার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, ‘প্রথম কথা হলো, এবার কেউ এতটুকু যদি এদিক–ওদিক কারও পক্ষে বা দলের পক্ষে...আমরা এখন পর্যন্ত জানি সে রকম নাই...যদি আমরা এ রকম বুঝি, তাহলে তাঁকে প্রত্যাহার করা হবে এবং প্রচলিত আইনের আওতায় এনে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সবাই গর্ববোধ করবে, এ রকম নির্বাচন চান বলে মন্তব্য করেন মোখলেস উর রহমান।