Thank you for trying Sticky AMP!!

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত

ভবনের ব্যবস্থাপকসহ চারজন রিমান্ড শেষে কারাগারে

রাজধানীর বেইলি রোডের ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ নামের ভবনে আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার ভবনটির ব্যবস্থাপক মুন্সি হামিমুল আলমসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ সোমবার এ আদেশ দেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক নিজাম উদ্দিন ফকির প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কারাগারে যাওয়া অপর তিনজন হলেন ভবনের ‘চুমুক’ নামের রেস্তোরাঁর দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান এবং ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক জয়নুদ্দিন জিসান। মামলার এজাহারে শফিকুরের নাম নেই।

এর আগে গত শনিবার ভবনের ব্যবস্থাপক মুন্সি হামিমুল আলমসহ চারজনকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত। দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদের আজ ঢাকার আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। অপর দিকে আসামিপক্ষ থেকে জামিন চাওয়া হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে আগুন লাগে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছয়জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভবন থেকে ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলায় তিন ব্যক্তি ও একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমোদন নিয়ে ভবনমালিক ও ব্যবস্থাপক রেস্তোরাঁর জন্য ভাড়া দিয়েছেন। অন্যদিকে রেস্তোরাঁগুলোর মালিক ও ব্যবস্থাপকেরা ভবন ব্যবহারের যথাযথ নিয়ম অমান্য করে ব্যবসা করে আসছিলেন। তাঁরা নিয়ম না মেনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) দোকান পরিদর্শক কর্মকর্তাদের খুশি করে অবৈধভাবে রেস্তোরাঁ স্থাপন করেন। তাঁরা গ্যাসের চুলা ও সিলিন্ডার ব্যবহার করে ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন, যা অবৈধ। তাঁদের অবহেলা ও বেপরোয়া কাজের জন্য সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়েছে। এতে আগুনে দগ্ধ হয়ে ও শ্বাসনালিতে ধোঁয়া ঢুকে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়।