
চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ কেন্দ্রীয় চর্ম ও সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের (আমেরিকান হাসপাতাল) সামনের তিনটি ওষুধের দোকান থেকে প্রায় ছয় লাখ টাকার অনিবন্ধিত বিদেশি ওষুধ জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসন ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর দোকানগুলোতে যৌথ অভিযান চালায়। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা এসব বিদেশি ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লেখেন বলে দোকানিরা জানিয়েছেন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। পুলিশের সহযোগিতায় পরিচালিত অভিযানে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এস এম সুলতানুল আরেফীন উপস্থিত ছিলেন।
আমেরিকান হাসপাতালটির ফটকের সামনে অবস্থিত মা ফার্মেসি, মা মেডিকেয়ার ও স্বাগতা ফার্মেসিতে এই অভিযান চালানো হয়। এখানে যেসব অনিবন্ধিত ওষুধ পাওয়া যায় সেগুলো চীন ও ভারত থেকে আনা। এসব ওষুধ রাখায় তিন দোকানিকে ২০ হাজার করে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ওষুধগুলো জব্দ করে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এস এম সুলতানুল আরেফীন বলেন, ওষুধগুলো প্রশাসনের নিবন্ধিত নয়। কোনো চিকিৎসকও এগুলো লিখতে পারবেন না।
দোকানের মালিকেরা অভিযোগ করেন, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা এসব ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লিখে থাকেন। যার জন্য তাঁরা এসব ওষুধ দোকানে রাখেন। এ সময় আমেরিকান হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে আসা শিল্পী নামের এক রোগীর ব্যবস্থাপত্রে দেখা যায় দুটি বিদেশি ওষুধ লেখা রয়েছে। হাসপাতাল ফটকের সামনের এসব দোকান ছাড়া ওষুধগুলো আর কোথাও পাওয়া যায় না।
জানতে চাইলে ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, চিকিৎসকেরা এসব বিদেশি ওষুধ লিখছেন। যার জন্য দোকানগুলো এগুলোর রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে। কিন্তু ওষুধগুলো ঔষধ প্রশাসনের নিবন্ধিত নয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুমন বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা চিকিৎসকদের এ ধরনের অনুমোদনহীন ওষুধ না লেখার জন্য বলে দিয়েছি।’