জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে জবিতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা

সম্পূরক বৃত্তির তালিকা প্রকাশ ও সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’। আগামীকাল রোববার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করবে তারা।

গতকাল শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলের এজিএস পদপ্রার্থী বি এম আতিকুর রহমান তানজিল বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বঞ্চনার শিকার। এখানে শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য হল নেই, ভালো ক্যাম্পাস নেই। প্রতিনিয়ত পুরান ঢাকায় একপ্রকার যুদ্ধ করে জীবনসংগ্রাম চালিয়ে যেতে হচ্ছে।’

আতিকুর রহমান তানজিল বলেন, ‘আমাদের এই সংগ্রাম অনশন কর্মসূচি থেকে শুরু হয়েছিল। আমরা সচিবালয় ঘেরাও করেছিলাম। কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নিলেও বাস্তবায়ন করেনি। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা “লংমার্চ টু যমুনা” কর্মসূচি দিই। সেখানে পুলিশের লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেডের মুখোমুখি হয়েও আমরা দাবি আদায়ে পিছপা হইনি।’

তানজিল আরও বলেন, ‘সম্পূরক বৃত্তি প্রদান করা হলে শিক্ষার্থীদের টিউশনের চাপ কমবে। তাঁরা পড়াশোনা ও ক্যারিয়ারে বিনিয়োগ করতে পারবেন। অথচ গতকালের সিন্ডিকেট সভায় এ নিয়ে কোনো আলোচনাই ওঠেনি। যমুনা আন্দোলনে ভাইবোনদের রক্তঝরা আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা সম্পূরক বৃত্তি আদায় করেছিলাম।’

প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ‘প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সংগ্রাম ও সংকটের মধ্য দিয়ে শিক্ষাজীবন পার করছে। আমরা আন্দোলন করে যাচ্ছি, কিন্তু ফল ঘরে তুলতে পারিনি। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ আবাসন–সুবিধা আছে, আবার কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ আবাসন–সুবিধা আছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তা থেকে বঞ্চিত। তাই আমরা অনশন কর্মসূচি থেকে যমুনা আন্দোলনে সম্পূরক বৃত্তির জন্য আওয়াজ তুলি।’

রাকিব আরও বলেন, ‘আমাদের খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার পাশাপাশি শিক্ষাজীবন চালিয়ে যেতে হবে। সে জন্য সম্পূরক বৃত্তির কোনো বিকল্প দেখছি না।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রবিষয়ক সম্পাদক অনিক কুমার দাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. মাশফিকুল ইসলাম রাইন, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক অর্ঘ্য শ্রেষ্ঠ দাস, আন্তর্জাতিক–বিষয়ক সম্পাদক অপু মুন্সী, ক্রীড়া সম্পাদক মো. কামরুল হাসান নাফিজ ও সদস্য পদপ্রার্থী মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ উপস্থিত ছিলেন।