
দেশের বিভিন্ন আদালতে ২৩২টি বিচারকের পদ সৃষ্টি করতে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের আদেশক্রমে ও বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস গঠন বিধিমালা, ২০২৫–এর বিধি ৫ অনুসারে বিচারিক পদ সৃষ্টির বিষয়ে গঠিত কমিটি গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে সভা করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন আপিল বিভাগের কর্মে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম।
এ সভায় কমিটির সদস্য ও আপিল বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার ও আইন ও বিচার বিভাগের সচিব (চলতি দায়িত্ব) মো. লিয়াকত আলী মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী সভায় কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেন।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, শিশু ধর্ষণ অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের জন্য জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদায় দেশের ৬৪ জেলায় ৬৪টি ও মহানগর এলাকায় আরও আটটিসহ মোট ৭২টি পদ সৃষ্টি করা হবে। এ ছাড়া পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান ছাড়া বাকি ৬১টি জেলায় জেলা জজ পদমর্যাদার পারিবারিক আপিল আদালতের বিচারক নিয়োগের জন্য ৬১টি পদ ও ঢাকা জেলায় মামলার সংখ্যা অনুপাতে অতিরিক্ত আরও চারটিসহ মোট ৬৫টি পদ সৃষ্টি করা হবে।
একই সঙ্গে দেশে বিদ্যমান ৫৪টি ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনালের জন্য জেলা জজ পদমর্যাদার ৫৪টি ও ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের জন্য আগে সৃজিত যুগ্ম জেলা জজ পদমর্যাদার ১৩টি পদ বাদ দিয়ে অবশিষ্ট ৪১টি বিচারকের পদ সৃষ্টি করা হবে। সব মিলিয়ে ২৩২টি নতুন বিচারিক পদ সৃজনে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, নতুন পদের বিপরীতে সহায়ক জনবল নিয়োগ, অফিস সরঞ্জামাদি নির্ধারণ ও এ–সংক্রান্ত প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগে পাঠানোসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনের জন্য আইন ও বিচার বিভাগ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে। প্রধান বিচারপতির অনুমোদনক্রমে এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।