ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিট থেকে রোগী সরানো শুরু
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট থেকে রোগীদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে হস্তান্তর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে বার্ন ইউনিটে থাকা প্রায় ৩০০ রোগীকে সেখানে হস্তান্তর করা হবে। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসিরউদ্দিন।
তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটকে করোনা ইউনিট করার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এ কারণে বার্ন ইউনিটে থাকা সব রোগীকে তিন দিনের মধ্যে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হচ্ছে।’
সরেজমিন দেখা যায়, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিট থেকে রোগীদের সরকারি বেসরকারি-অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে নিয়ে হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়।
গত শুক্রবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বার্ন ইউনিটকে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা বিষয়ে একটি আদেশ জারি করেছিল। ওই আদেশে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢাকা মহানগরীতে কোভিড-১৯ হাসপাতাল সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে অবস্থিত বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটকে কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে ডেডিকেটেড করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
অতিরিক্ত সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগীদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তরের অনুরোধ জানানো হয় ।
জানা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঢাকা ছাড়াও দেশের দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা আসেন। জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পর তাঁরা সংশ্লিষ্ট বিভাগে স্থানান্তরিত হন। বার্ন ইউনিট এই জরুরি বিভাগ লাগোয়া।
আরও পড়ুন
-
ইরান-ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে যে বদল এসেছে
-
আইসিইউর এসি নষ্ট, অস্ত্রোপচারও বন্ধ, কষ্টে রোগীরা
-
দিনাজপুরে ভোট গণনার পর দুই প্রার্থীর সমর্থকদের উত্তেজনা, পুলিশের গুলিতে নিহত ১
-
এবার ‘কিপটে’ মোস্তাফিজের ২ উইকেট, বড় জয়ে শীর্ষ তিনে ফিরল চেন্নাই
-
ঢাকাসহ ৫ জেলা: মাধ্যমিক সোমবার বন্ধ হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলাই থাকছে