
বাসাবাড়িতে নিরাপত্তার জন্য কুকুর পালনে মানুষকে উৎসাহিত করতে ‘প্রথম পোষা কুকুর প্রদর্শনী ও শোভাযাত্রা’ করেছে ন্যাশনাল স্যালভেশন মুভমেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ প্রদর্শনী ও শোভাযাত্রা করা হয়।
পোষা কুকুরের প্রদর্শনী ও শোভাযাত্রায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির ৪৫টি কুকুর অংশ নেয়। কুকুরের বাধ্যতা, স্বাস্থ্য ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এই তিনটি শ্রেণিতে তিনজন মালিককে অনুষ্ঠানে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে রিয়াজ হোসেন, মো. আরমান ও রাজেশ্বরী দাস।
আরমান বলেন, প্রদর্শনীতে তাঁর কুকুরটি ছিল একমাত্র দেশি প্রজাতির কুকুর। এক বছর তিন মাস আগে রাজধানীর বাসাবোর কদমতলা এলাকার রাস্তা থেকে কুকুরটিকে পেয়েছিলেন তিনি। নাম রেখেছেন ‘লিম্বু’। তিনি বলেন, ‘লিম্বু আমার সব কথা শোনে ও মানে। খিলগাঁওয়ের বাড়ির গেটে অপরিচিত কেউ এলেই তার গতি রোধ করে লিম্বু। তাই বাড়ির সিকিউরিটি হিসেবে লিম্বু বেস্ট।’
প্রদর্শনীতে বিভিন্ন জাতের ১২টি কুকুর নিয়ে আসে ট্রাস্ট ক্যানেল অ্যান্ড ইমপোর্টার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এর সহকারী ব্যবস্থাপক (ট্রেইনিং) আজমত হোসেন বলেন, তাঁর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরের দাম দেড় থেকে দুই লাখ টাকা৷ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, দেশ-বিদেশে বড় অনুষ্ঠান শুরুর আগে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর দিয়ে অনুষ্ঠানস্থল পরীক্ষা করা হয়। ফলে কোথাও বোমাসদৃশ কোনো কিছু থাকলে বের করে দেয় কুকুর। সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দিলে বাড়ির নিরাপত্তায় অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা রাখতে পারে একটি কুকুর।
ন্যাশনাল স্যালভেশন মুভমেন্টের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন মজুমদারের সভাপতিত্বে ও জাকির হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক আবদুল হালিম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভেটেরিনারি কর্মকর্তা আযমত আলী ও রিজভী আহম্মেদ, কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালের অতিরিক্ত ভেটেরিনারি কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া, ট্রাস্ট ক্যানেল অ্যান্ড ইমপোর্টার্সের প্রোপ্রাইটর মাশফিকুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।