Thank you for trying Sticky AMP!!

সাংবাদিক মিজানুর রহমানের স্মরণে দোয়া

সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের স্মরণে রাজধানীর সোবহানবাগ মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে

সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের স্মরণে রাজধানীর সোবহানবাগ মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বাদ আসর এ দোয়ার আয়োজন করা হয়। এ সময় পরিবারের সদস্যরা, সহকর্মী, শুভানুধ্যায়ী ও ধানমন্ডির স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

আসরের নামাজ শেষে দোয়া করেন মসজিদের ইমাম মো. লেকোয়াত হোসেন। দোয়ায় অংশ নেন মিজানুর রহমান খানের বড় ছেলে শাদমান মিজানুর খান, ভাই ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী, সাবেক জেলা জজ মাসদার হোসেন, প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ, ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এ বি এম খায়রুল কবির প্রমুখ।

ধানমন্ডির ১৪ নম্বর সড়কের বাসিন্দা ছিলেন মিজানুর রহমান।

সাংবাদিক ও প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান গত সোমবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর।

সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান

মিজানুর রহমান খান করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন। গত ৫ ডিসেম্বর তিনি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর শারীরিক সমস্যা বাড়লে সেখান থেকে গত ১০ ডিসেম্বর তাঁকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত শনিবার বিকেলে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।

সাংবাদিকতার পাশাপাশি বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কারের সপক্ষে জনমত গঠনে তিনি ভূমিকা পালন করেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘সংবিধান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিতর্ক’, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের স্বরূপ’, ‘১৯৭১ আমেরিকার গোপন দলিল’ ও ‘মার্কিন দলিলে মুজিব হত্যাকাণ্ড’।

সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান ১৯৬৭ সালের ৩১ অক্টোবর ঝালকাঠির নলছিটিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বরিশালের ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন ১৯৮৮ সালে। দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতায় থাকা মিজানুর রহমান খান ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত যুগান্তর পত্রিকার বিশেষ সংবাদদাতা ও সহকারী সম্পাদক ছিলেন। এরপর সমকাল পত্রিকার উপসম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। প্রথম আলোয় যোগ দেন ২০০৫ সালের ১ নভেম্বর।

Also Read: মিজানুর রহমান খান সাংবাদিকতাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন

Also Read: মিজানুর রহমান খানের শেষ বিদায়