
রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে পোশাক কারখানা ও রাসায়নিকের গুদামে আগুনের ঘটনায় নিহত ১৬ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মর্গে আনা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় মরদেহগুলো মর্গে পৌঁছায়। এ সময় মর্গের সামনে ছবি হাতে স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা যায়।
মর্গের সামনে বড় বোন মাহিরার (১৪) মরদেহের খোঁজে আহাজারি করছেন মাহিয়া। এক মাস হয় তার বোন পোশাক কারখানাটিতে কাজ শুরু করেছে। অগ্নিকাণ্ডের খবর শোনার পর থেকে সে বোনকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো খোঁজ মেলেনি, তার মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে।
মারজিয়া ও জয় মিয়ার মরদেহ খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাঁদের স্বজনেরা। অগ্নিকাণ্ডের সময় স্বামী-স্ত্রী দুজনই একসঙ্গে ছিলেন। মারজিয়ার বাবা মো. সুলতান প্রথম আলোকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় মেয়ে মারজিয়া তাঁকে ফোন করে জানায় কারখানায় আগুন লেগেছে; তারা বের হতে পারছে না।
পোশাক কারখানাটির হিসাব বিভাগে কাজ করতেন খালিদ হাসান (৩০)। এক মাস হয় চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। থাকতেন রাজধানীর মোহাম্মদপুরে। খালিদের মরদেহ খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাঁর স্ত্রীর বড় বোন সালমা আক্তার। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সন্ধান মেলেনি।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে একটি পোশাক কারখানা ও একটি রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, কারখানার পাশে থাকা রাসায়নিকের গুদামে বিস্ফোরণের পর সেখান থেকে বিষাক্ত সাদা ধোঁয়া বা টক্সিক গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে, যা ছিল প্রাণঘাতী।
ঘটনাস্থল থেকে ১৬টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে। মরদেহগুলো পোশাক কারখানার ভবনের দোতলা ও তিনতলার বিভিন্ন স্থানে পাওয়া গেছে। মরদেহগুলোর অবস্থা এমন যে সেগুলো ডিএনএ টেস্ট ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয়।