বেলা দেড়টার দিকে কালশী উড়ালসড়কে রিকশা চলতে দেখা গেছে
বেলা দেড়টার দিকে কালশী উড়ালসড়কে রিকশা চলতে দেখা গেছে

কালশী উড়ালসড়ক

চলছে রিকশা–ইজিবাইক, বিক্রি হচ্ছে আনারস–আইসক্রিম

মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে উদ্বোধন হয়েছে। এরপরই উড়ালসড়ক দিয়ে চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক। ভ্যানগাড়িতে বিক্রি করা হচ্ছে আনারস, পেয়ারা ও আইসক্রিম।

আজ রোববার বেলা দেড়টার দিকে কালশী উড়ালসড়কের কালশী মোড় অংশে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। বেলা ১১টার দিকে উড়ালসড়কটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উড়ালসড়কটির যে অংশ পল্লবীর দিকে নেমেছে, ওই পথ দিয়ে (২২ তলা গার্মেন্টস নামে পরিচিত) ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইকগুলো যাত্রী নিয়ে উল্টো পথে উড়ালসড়কে উঠছে। এই অংশে ট্রাফিক পুলিশের কোনো সদস্য বা কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি। এতে উড়ালসড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। ইসিবির দিক থেকে আসা যানবাহনের সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটার মতো পরিস্থিতিও হচ্ছে।

উড়ালসড়কে চলতে দেখা গেছে ইজিবাইক। বেলা দেড়টার দিকে

এ নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, পিকআপ, প্রাইভেট কারের চালকদের সঙ্গে রিকশাচালকদের বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়াতেও দেখা গেছে।

রিকশায় করে মূলত স্থানীয় বাসিন্দারা উড়ালসড়ক ঘুরে দেখছেন। কালশী অংশ থেকে শুরু করে উড়ালসড়ক হয়ে পল্লবী নতুন থানার দিক যেতে যাত্রীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২৫-৩০ টাকা নিচ্ছেন রিকশাচালকেরা। কেউ কেউ আবার উড়ালসড়কের ওপরে যাত্রী নিয়ে নামাচ্ছেন, আবার যাত্রী নিয়ে নামছেন। এ সময় উড়ালসড়কের ওই মোড়ে রিকশার জটলা দেখা গেছে।

উড়ালসড়কে আইসক্রিমও বিক্রি হতে দেখা গেছে। বেলা দেড়টার দিকে ছবিটি তোলা

উড়ালসড়কের যেখানে কালশী অংশ ও মিরপুর ডিওএইচএস অংশ বিভক্ত হয়েছে, সেই মোড়ে কয়েকটি আনারস, পেয়ারা ও আইসক্রিম বিক্রির ভ্যান দেখা গেছে। সেখানে আনারস বিক্রি করছিলেন রায়হান মিয়া। তিনি বলেন, ‘আজকে অনেকে এখানে বেড়াতে আসবে। তাই বাড়তি বিক্রির আশায় উড়ালসড়কে উঠে এসেছি।’ এটা ঠিক নয় বলেও স্বীকার করেন তিনি।

বিক্রি হচ্ছে আনারসও। বেলা দেড়টার দিকে ছবিটি তোলা

উড়ালসড়কে এভাবে পণ্য বিক্রি, ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলা নিষেধ। তারপরও সেগুলো কেন চলছে জানতে চাইলে ট্রাফিক পুলিশের সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এভাবে রিকশা চলায় দুর্ঘটনার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু কেউ মানছে না। কতজনকে নিষেধ করা সম্ভব, বলেন?’

উড়ালসড়কের উভয় পাশে অযান্ত্রিক যানের জন্য ১০ ফুটের পৃথক লেন রয়েছে। তারপরও মূল রাস্তা দিয়ে অনেক রিকশা চলতে দেখা গেছে। অথচ অযান্ত্রিক বাহনের লেনগুলো ফাঁকা ছিল।