Thank you for trying Sticky AMP!!

উসকানিমূলক বক্তব্য ও পোস্ট না দেওয়ার শর্তে জামিন পেলেন ঝুমন দাশ

ঝুমন দাশ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় বিদ্বেষ ও উসকানিমূলক বক্তব্য ও পোস্ট না দেওয়ার শর্তে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা এক মামলায় ঝুমন দাশ ওরফে আপনকে (২৬) অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাঁর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিন দেন।

সুনামগঞ্জে নিজের ফেসবুকে ‘উসকানিমূলক’ পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ঝুমন গত ২২ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে বিফল হন। এরপর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তিনি।

আজ আদালতে ঝুমনের পক্ষে আইনজীবী তাপস কান্তি বল শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম গোলাম মোস্তফা।

পরে আইনজীবী তাপস কান্তি বল প্রথম আলোকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্মীয় বিদ্বেষ ও উসকানিমূলক বক্তব্য ও পোস্ট না দেওয়ার শর্তে ঝুমন দাশকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওই মামলায় ৩০ আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন ঝুমন। এই মামলায় জামিন হওয়ায় ঝুমনের কারামুক্তিতে আইনগত বাধা নেই।

ঝুমন দাশের বাড়ি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে। শাল্লা থানার পুলিশ তাঁকে ৩০ আগস্ট দুপুরে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে শাল্লা থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুমনুর রহমান বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পরের দিন তাঁকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। ঝুমন দাশ সেদিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

ঝুমন দাশের বিরুদ্ধে একই থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত বছরের ২২ মার্চ আরেকটি মামলা করেছিল পুলিশ। ওই মামলায় তিনি প্রায় ছয় মাস কারাগারে ছিলেন। মামলাটি এখন সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে আছে।

গত বছর হেফাজতে ইসলামের তৎকালীন নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে শাল্লা থানায় ঝুমন দাশের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ওই মামলায় হয়। ১৬ মার্চ ফেসবুকে দেওয়া ওই পোস্টের জেরে ১৭ মার্চ সকালে নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা চালানো হয়।

ঝুমন দাশকে ১৬ মার্চ রাতেই আটক করে পুলিশ। এরপর ২২ মার্চ শাল্লা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে পুলিশ। এই মামলায় ২৩ মার্চ ঝুমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই মামলায় তিনি প্রায় ছয় মাস জেল খাটার পর হাইকোর্ট থেকে এক বছরের জন্য ২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর জামিন পান।

Also Read: ঝুমন দাশকে আবার গ্রেপ্তার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা