তেজগাঁওয়ে হোলি রোজারি চার্চ
তেজগাঁওয়ে হোলি রোজারি চার্চ

তেজগাঁওয়ে গির্জা লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্যাথলিকমণ্ডলীর উদ্বেগ

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত হোলি রোজারি গির্জা লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ক্যাথলিকমণ্ডলী। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।

আজ শনিবার ঢাকার আর্চবিশপ ও বাংলাদেশ ক্যাথলিক বিশপ সম্মিলনীর সভাপতি আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

গত বুধবার রাত ১০টার দিকে হোলি রোজারি গির্জার সামনে এ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। গির্জার নিরাপত্তা কর্মীদের বরাত দিয়ে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুজনকে ককটেল ছুড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে দেখেছেন তাঁরা।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায় এ ঘটনায় ভীষণভাবে আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন। তিন শ বছরের বেশি সময় ধরে তেজগাঁও এলাকায় খ্রিষ্টান জনগোষ্ঠীর বসবাস। বাংলাদেশে বিদ্যমান গির্জাগুলোর মধ্যেও তেজগাঁও গির্জাটি প্রাচীনতম। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য।

ক্যাথলিকমণ্ডলী বলেন, খ্রিষ্টানদের উপাসনালয় চত্বরে এ আক্রমণ একদিকে যেমন আতঙ্ক সৃষ্টি করে, অন্যদিকে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে। এ ঘটনার যদি দ্রুত ও সঠিক অনুসন্ধান এবং মূল হোতাদের চিহ্নিত ও আইনের আওতায় আনা না হয়, তাহলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটার ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে উসকে দেওয়ার ভয় আছে।

তেজগাঁওয়ের এই বিস্ফোরণের ঘটনায় দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া এবং খ্রিষ্ট ধর্মের বিশ্বাসীসহ সব ধর্মের বিশ্বাসীরা যেন নির্ভয়ে জীবনযাপন ও ধর্ম পালন করতে পারে, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।