Thank you for trying Sticky AMP!!

আসল নোট সেদ্ধ করে তৈরি হচ্ছিল জাল টাকা

জাল টাকা তৈরির অভিযোগে ছয় জনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ছবি: সংগৃহীত

জাল টাকা তৈরির অভিযোগে মিরপুর ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার দুটি বাসা থেকে চার কোটি টাকার জালনোটসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সোমবারের ওই অভিযানে র‌্যাব জাল টাকা বানানোর যন্ত্রপাতিও উদ্ধার করে, যার দাম ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঈদ সামনে রেখে পশুর হাট টার্গেট করে জাল টাকার কারবার চলছে কি না, সেই খোঁজখবর রাখছিল র‌্যাব–২। তারই অংশ হিসেবে অভিযানটি পরিচালিত হয়। অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় মো. সেলিম (৪০), মো. মনির (৪৫), মো. মঈন (৪০), রমিজা বেগম (৪০), খাদেজা বেগম (৪০) ও অপ্রাপ্তবয়স্ক একজন (১৫)।

র‌্যাব জানায়, এই চক্রটি বিভিন্ন পদ্ধতিতে জাল টাকা তৈরি করে বাজারে ছাড়ছিল। বিশেষ করে ১০০ টাকার নোটকে সেদ্ধ করে তার ওপর ৫০০ টাকার ছাপ বসায়। এই কাজে তারা বিশেষ রং, কাগজ ও প্রিন্টার ব্যবহার করে। তাদের তৈরি ১০০০ টাকার জাল নোট দেখে সেগুলো আসল না নকল চেনার সাধারণ মানুষের পক্ষে অসম্ভব। চার কোটি টাকার জালনোট ছাড়াও মিরপুর ও বসুন্ধরার বাসা থেকে ৫০০ ও ২০০০ রুপির মতো দেখতে ৪০ লাখ জাল রুপি উদ্ধার হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানান, মঈন সহযোগী মনিরকে জাল টাকা ছাপানোয় সহযোগিতা করত। রমিজা বেগম সেলিমকে কাগজে আঠা লাগানোর কাজে সহয়তা করতো এবং প্রয়োজনীয় ফুটফরমাশ খাটত। খাদিজা বেগম এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর সাদা কাগজে নিরাপত্তা সুতার জলছাপ দেওয়ার কাজ করত। গোয়েন্দা সূত্র ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আরও জানিয়েছেন, এই বিপুল পরিমাণ জাল টাকা আসন্ন ঈদে বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা ছিল চক্রটির।

র‌্যাব বলেছে, করোনার এ সময়ে জাল টাকার ছড়াছড়ি দেশের আর্থসামাজিক অবস্থাকে দুর্বল করে দিতে পারে। জাল টাকার একটি বিশাল সিন্ডিকেট দেশের ভেতরে কাজ করছে। র‌্যাব এদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখবে।