Thank you for trying Sticky AMP!!

এক দিনের মাথায় জবি শিক্ষার্থীর লাশ মিলল বুড়িগঙ্গায়

আরিফুল ইসলাম

রাজধানীর শ্যামপুর এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটায় নৌপুলিশ ওই লাশ উদ্ধার করে।

লাশ উদ্ধার হওয়া ওই ছাত্রের নাম আরিফুল ইসলাম (২২)। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার রায়পুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মো. মইনুদ্দিনের দ্বিতীয় ছেলে।

আরিফুলের সহপাঠীরা জানিয়েছেন, তিনি গতকাল সোমবার টিউশনি করতে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। রাতে এক মাঝির মাধ্যমে তাঁর ব্যবহৃত ব্যাগ ও মোবাইল ফোন পাওয়া যায়।

আরিফুলের সহপাঠী মো. হাসান প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আরিফুল ঢাকার সূত্রাপুর থানাধীন লক্ষ্মীবাজার এলাকায় টিউশনিতে যাওয়ার কথা বলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর ইস্পাহানি এলাকার মেস থেকে বের হয়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে আরিফুলের বড় ভাই রাশেদুল ইসলাম দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

মো. হাসান আরও বলেন, ‘সোমবার রাতে এক নৌকার মাঝির কাছ থেকে আমার বন্ধু আরিফের ব্যাগ ও মোবাইল পাওয়ার পর আমরা বুড়িগঙ্গা নদীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি গত সোমবার কোনো নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেনি।’

অপর সহপাঠী মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘গত সোমবার রাত ১০টার দিকে আরিফুলের মোবাইল নম্বর থেকে আমার মোবাইলে কল দিয়ে নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি নিজেকে নৌকার মাঝি পরিচয় দিয়ে বলেন, আমি পানিতে ভাসমান অবস্থায় ব্যাগটি পেয়েছি। এর মধ্যে কিছু কাগজ ও ১২০ টাকাসহ মানিব্যাগ ও মোবাইলটি পাই। আপনারা এসে আমার কাছ থেকে ব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে যান। তখন আমরা আগানগর ইস্পাহানি ঘাট এলাকা থেকে আরিফুলের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন সংগ্রহ করি।’

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার নৌপুলিশ উপপরিদর্শক ইয়াকুব হোসেন বলেন, আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নিখোঁজ শিক্ষার্থী আরিফের মরদেহ শ্যামপুর এলাকায় ভেসে উঠলে এলাকাবাসী পুলিশকে সংবাদ দেয়। আরিফুলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আরিফুলের বড় ভাই রাশেদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘কী কারণে আমার ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, এ ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না।’

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাগ ও মোবাইল উদ্ধারের বিষয়ে নৌকার মাঝি নজরুল ইসলামকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’