Thank you for trying Sticky AMP!!

পরীক্ষা না দিয়েই ৩৫৩তম!

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা তিনি দেননি। তবু প্রকাশিত ফলাফলে তাঁর মেধাস্থান ৩৫৩তম। ভর্তি হতে এসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রথমে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। প্রক্টর বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ দেখালে একপর্যায়ে স্বীকার করেন। পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয় রাসিক মারজান নামের ওই শিক্ষার্থীকে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ভর্তি পরীক্ষা না দিলেও রাসিক মারজান ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় ৩৫৩তম হন। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও জানত না। জালিয়াতি করে ওই শিক্ষার্থী ভর্তির মেধাতালিকায় স্থান করে নেওয়ার বিষয়টি প্রথম গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে জানতে পারেন প্রক্টর জহীর উদ্দিন আহমেদ। রোববার মেধাতালিকায় ১ থেকে ৬০০তম অবস্থানে থাকা শিক্ষার্থীদের ‘বি’ ইউনিটে (প্রকৌশল বিষয়গুলোতে) ভর্তির সাক্ষাৎকারের দিন নির্ধারিত ছিল। বিকেলে ৩৫৩তম মেধাস্থানের ক্রমিক এলে ভর্তির জন্য আসেন রাসিক মারজান। তবে তিনি এইচএসসির মূল সনদ নিয়ে আসেননি। নকল সনদ নিয়ে আসেন। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্যসচিব জহীর উদ্দিন আহমেদ জালিয়াতি করে ভর্তির হওয়ার বিষয়ে রাসিককে প্রশ্ন করলে তিনি অস্বীকার করেন। পরে প্রক্টর তাঁর মূল সনদের কপি দেখালে সেটি তাঁর বলে স্বীকার করেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্বীকার করেন, তিনি ভর্তি পরীক্ষা দেননি। পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে তিন লাখ টাকা দিয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে জালিয়াতি করে এ মেধাস্থান অর্জন করেন। পরে প্রক্টর তাঁকে সিলেট নগর পুলিশের জালালাবাদ থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

রাসিক মারজান রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার পীরগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে চলতি বছর এইচএসসি পাস করেন।

প্রক্টর জহীর উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই শিক্ষার্থী জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করলে তাঁকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. হারুনুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আটক করে ওই শিক্ষার্থীকে আমাদের হেফাজতে দিয়েছে। পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে রাসিকের নামে মামলা আছে। সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সদস্যরা ঢাকা থেকে আসছেন। তাঁদের হাতে তাঁকে তুলে দেওয়া হবে।’