Thank you for trying Sticky AMP!!

বাম জোটের মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটা, হাতাহাতি

বাম গণতান্ত্রিক জোটের কালো পতাকা মিছিলে পুলিশের বাধা। মৎস্য ভবন মোড়, ঢাকা, ৩০ ডিসেম্বর। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

বাম গণতান্ত্রিক জোটের মিছিলে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। মিছিলের প্রথম দফায় পুলিশ নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করে। আজ সোমবার বেলা একটার দিকে হাইকোর্টের কাছে কদম ফোয়ারা ও মৎস্য ভবনের মোড়ে দুই দফায় এই ঘটনা ঘটে।

আটটি বাম দলের এই জোট আজ ‘গণতন্ত্রের কালো দিবস’ পালন উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। এই জোটে রয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ (মার্ক্সবাদী), গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে দিনটিকে কালো দিবস হিসেবে পালন করছে জোট। তাদের কর্মসূচির মধ্যে আরও ছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের কালো পতাকা মিছিলে পুলিশের বাধা। মৎস্য ভবন মোড়, ঢাকা, ৩০ ডিসেম্বর। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু হয় দুপুর ১২ টার দিকে। সমাবেশ শেষে পৌনে একটার দিকে কয়েক শ মানুষের মিছিলটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে রওনা হয়। তবে হাইকোর্টের কাছে কদম ফোয়ারার সামনে পুলিশের প্রথম বাধার মুখে পড়ে মিছিলটি। ব্যারিকেড ভেঙে মিছিলটি সামনের দিকে এগোতে থাকে। ওই সময় পুলিশ জোটের মিছিলে লাঠিপেটা করে। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি সামনের দিকে এগোলে বেলা একটার দিকে মৎস্য ভবনের সামনে দ্বিতীয় ব্যারিকেডের সামনে পড়ে। সেখানে পুলিশের উপস্থিতি ও ব্যারিকেডের সংখ্যা বেশি ছিল। পুলিশের শক্ত বাধার মুখেও জোটের নেতা-কর্মীরা এগোনোর চেষ্টা করলে তাঁদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পুলিশের দিকে মিছিল থেকে প্ল্যাকার্ড ছুড়ে মারা হয়।
একপর্যায়ে পুলিশের একজন কর্মকর্তা মিছিলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা চলে যান। আমি এখন অ্যারেস্ট করব। কাউকে দেখব না।’

বাম গণতান্ত্রিক জোটের কালো পতাকা মিছিলে পুলিশের বাধা। মৎস্য ভবন মোড়, ঢাকা, ৩০ ডিসেম্বর। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

এরপর পুলিশ ধাওয়া দিলে মিছিলটি পেছনের দিকে কিছুটা সরে যায়। এভাবে কয়েক মিনিট আগ-পিছু চলতে থাকে। ওই সময় পুলিশ আবার ধাওয়া দিলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

ধাওয়া খেয়ে জোটের নেতা-কর্মীরা আবার প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন। তাঁরা পুলিশের ভূমিকার নিন্দা জানান। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল্লাহেল কাফি বলেন, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল মিছিলে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এতে তাঁদের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।