পুলিশ বলছে ট্রাকচাপায় নিহত

মনিরামপুরে দুজনকে হত্যার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় গত সোমবার রাতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ ওই দুজনকে ধরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে। তাঁরা বিএনপির সমর্থক ছিলেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ বলেছে, পেট্রলবোমা ছোড়ার সময় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে তাঁরা নিহত হন।
নিহত যুবকেরা হলেন উপজেলার তাহেরপুর গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে মো. ইউসুফ আলী (২৬) ও দুর্গাপুর গ্রামের মো. লিটন (২৫)। তাঁরা সবজি ব্যবসায়ী ছিলেন।
নিহত ইউসুফের চাচা আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার রাত নয়টার দিকে ইউসুফ ও লিটন মোটরসাইকেলে করে গাংড়া গ্রামে পাওনা টাকার তাগাদা দিতে একজনের বাড়িতে যান। ফেরার পথে পুলিশ তাঁদের আটক করে। রাত ১০টার দিকে ওই গ্রামের এক ব্যক্তি ফোন করে তাঁকে (মান্নান) এ সংবাদ দেন। মান্নান জানান, দেশের পরিস্থিতি খারাপ ভেবে রাতে তিনি থানায় যাননি। সকালে গেলে পুলিশ জানায়, ওই দুজনকে আটক করা হয়নি। পরে তিনি জানতে পারেন, দুজনের লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
আবদুল মান্নান দাবি করেন, ইউসুফের মাথা, ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অস্ত্র দিয়ে কোপানোর দাগ ছিল। আর লিটনের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাতের ক্ষত রয়েছে। তাঁরা দুজনেই বিএনপির সমর্থক ছিলেন বলে দাবি করেন মান্নান।
তবে মান্নানের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা খবির আহম্মেদ প্রথম আলোকে জানান, রাত ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের মনিরামপুর উপজেলার ব্যাগারিতলা এলাকায় দুজন মোটরসাইকেলে করে ট্রাকে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ট্রাকের চালক বাঁচার জন্য তাঁদের পিষ্ট করে চলে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশ দুটি উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
ওসি জানান, ২০১৩ সালে রাজনৈতিক সহিংসতার সময় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় হওয়া একটি মামলার আসামি ইউসুফ।
এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জে র্যাবের অভিযানে আটক হন শিবিরের নেতা আসাদুল্লাহ তুহিন। পরে র্যাব দাবি করে, ওই দিন দিবাগত রাত তিনটার দিকে র্যাবের গাড়ি থেকে পালানোর সময় ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হন তুহিন। তবে শিবির অভিযোগ করে, তুহিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।