Thank you for trying Sticky AMP!!

যুবককে হত্যা করেই ক্ষান্ত নয়, হাতও কেটে নিল

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় এক যুবককে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। ওই সময় যুবকের ডান হাত কেটে নিয়ে যায় তারা। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের মহিবউল্যাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার সকালে বাড়ির পাশের কবরস্থান থেকে বিচ্ছিন্ন হাতটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত যুবকের নাম মো. রুবেল (২৫)। তিনি মহিবউল্যাপুর গ্রামের মৃত আবদুল আজিজের ছেলে।

নিহত রুবেলের মামা খোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর খালাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে ভাগনে রুবেলের বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জের ধরে গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাহাঙ্গীর ও তাঁর সহযোগী মো. মুজিব ভাগনে রুবেলকে ঘর থেকে ডেকে বাইরে নিয়ে যান। এ সময় তাঁর (খোরশেদ) বোন রৌশনারা বেগম এগিয়ে গেলে জাহাঙ্গীর ও মুজিব তাঁকে গালাগাল করে তাড়িয়ে দেন।

খোরশেদ বলেন, তাঁর বোন ফিরে আসার ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মাথায় বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে রুবেলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে এবং তাঁর ডান হাত কেটে নিয়ে পালিয়ে যায় জাহাঙ্গীর ও তাঁর সহযোগীরা। চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে রুবেলকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আজিম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে রুবেল নামের এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর ডান হাত ছিল না। মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।

গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ প্রথম আলোকে বলেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে রুবেলকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীরা তাঁর ডান হাত কেটে নিয়ে যায়। আজ সকালে রুবেলদের বাড়ির পাশের একটি কবরস্থান থেকে পুলিশ কাটা হাতটি উদ্ধার করে।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ আলম মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করা হচ্ছে, তাঁরা সম্পর্কে নিহত রুবেলের মামা। দুই পক্ষই ‘খারাপ প্রকৃতির’। নিহত রুবেল একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।

ওসি জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ হত্যাকারীদের ধরার চেষ্টা করছে।