
রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে উড়ালসড়ক থেকে ছোড়া ককটেলের আঘাতে সিয়াম মজুমদার (২১) নামের এক তরুণ নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। পুলিশ বলছে, ঘটনাস্থল ও আশপাশের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে।
গত বুধবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টা ১০ মিনিটের দিকে রাজধানীর মগবাজার উড়ালসড়ক থেকে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া বিস্ফোরক দ্রব্যের আঘাতে সিয়াম নিহত হন। তিনি একটি মোটরকার ডেকোরেশন দোকানের কর্মী ছিলেন।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো. ইবনে মিজান আজ শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর হাতিরঝিল থানার পাশাপাশি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) ছায়াতদন্ত করছে। ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, এ ছাড়া ওই এলাকায় আগে যারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, এমন একাধিক ব্যক্তিকে আটক করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে। তবে ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।
এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার হাতিরঝিল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন সিয়ামের বাবা আলী আকবর মজুমদার।
পারিবারিক সূত্র জানা গেছে, সাড়ে ৪ বছর আগে খুলনার দিঘলিয়ার দেয়াড়া দেবনগর গ্রাম থেকে ৪ সদস্যের ঋণগ্রস্ত পরিবারটি ঢাকার ইস্কাটন এলাকায় আসে। গৃহকর্তা আলী আকবর মজুমদার রিকশা চালানো শুরু করেন। তাঁর স্ত্রী সিজু বেগম বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কাজ নেন। তাঁদের দুই সন্তান সিয়াম মজুমদার ও সেজান মজুমদার ইস্কাটন এলাকাতেই দুটি মোটর পার্টস ডেকোরেশনের দোকানে কাজ নেন। পরিবারের সবাই মিলে চেষ্টা করছিলেন ঋণমুক্ত হওয়ার। গত বুধবার সন্ধ্যার পর নিউ ইস্কাটনে ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া ককটেলের বিস্ফোরণে বড় ছেলে সিয়ামের মৃত্যুতে পরিবারটি যেন আরও অসহায় হয়ে পড়েছে।