আটা, ময়দা, ভাতের মাড় দিয়ে তৈরি হচ্ছিল ভেজাল প্রসাধনী

ভেজাল প্রসাধনী তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার চারজন
ছবি: সংগৃহীত

প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই নবীউল্লাহ ওরফে নবীর (৫০)। তিনি আটা, ময়দা, পানি, ভাতের মাড় এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ও পরিত্যক্ত প্রসাধনীর সঙ্গে কিছু রাসায়নিক (কেমিক্যাল) ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে ভেজাল প্রসাধনী তৈরি করে আসছিলেন। পুরান ঢাকার চকবাজারের বড় কাটারায় তৈরি এসব ভেজাল প্রসাধনী পরে সারা দেশের বিভিন্ন সুপারশপ, গ্রোসারি শপ, সেলুন ও বিউটি পারলারে চলে যেত।

৮ অক্টোবর রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কাটরায় অভিযান চালিয়ে কারখানা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই চারজনকে আদালতের মাধ্যমে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি। নবীউল্লাহ ছাড়া অন্য তিনজন হলেন মোহাম্মদ মাসুম হোসেন ঢালী (৩৭), মো. রিয়াজ (২৭) ও মো. দুলাল ব্যাপারী (৩৫)।
ডিবি বলছে, ভেজাল প্রসাধনী উৎপাদনের অভিযোগে গত ছয় মাসে নবীউল্লাহ চারবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। প্রতিবারই গ্রেপ্তারের কিছুদিনের মাথায় তিনি জামিনে বেরিয়ে এসে আবার পুরোনো পেশায় যুক্ত হন।

অভিযান তদারক কর্মকর্তা পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান আজ বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, নবীউল্লাহর প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। তিনি বিভিন্ন সময়ে বাড়িওয়ালাদের কাছ থেকে বাড়ির নিচতলা, কখনো সবচেয়ে ওপরের তলা বেশি টাকায় ভাড়া নেন। তারপর কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই বিদেশি নাম করা প্রতিষ্ঠানের নামে ভেজাল প্রসাধনী উৎপাদন করেন।
ডিবির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ভেজাল প্রসাধনী উৎপাদন, মোড়কীকরণ, মজুতদারি ও বাজারজাত করার অভিযোগে গত ছয় মাসে বিশেষ ক্ষমতা আইনের তিনটি মামলায় নবীউল্লাহ ও তাঁর সহযোগীরা গ্রেপ্তার হলেও আদালত থেকে জামিন নিয়ে তাঁরা আবারও একই অপরাধে জড়িয়ে পড়েন।