Thank you for trying Sticky AMP!!

আলেশা মার্টের লোগো

আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে মঞ্জুরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় গুলশান থানা-পুলিশ।

পুলিশ বলছে, গ্রাহকের করা শতাধিক প্রতারণার মামলায় মঞ্জুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনার রিফাত রহমান শামীম আজ রোববার প্রথম আলোকে বলেন, আলেশা মার্টের চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Also Read: গ্রাহকদের ৪২১ কোটি টাকা আত্মসাৎ, আলেশা মার্টের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

মঞ্জুরের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনেও মামলা আছে। এই মামলার বাদী পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডির তথ্যমতে, ২০২০ সালের ২৬ জুলাই আলেশা মার্ট যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর থেকে নিবন্ধন পায়। প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়। আনুষ্ঠানিকভাবে আলেশা মার্টের যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি।

যাত্রা শুরুর পর কম মূল্যে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য সরবরাহের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নেয় প্রতিষ্ঠানটি। তবে বহু গ্রাহককে পণ্য না দিয়ে কিংবা টাকা ফেরত না দিয়ে ই-কমার্স ব্যবসার আড়ালে প্রতারণার মাধ্যমে তারা টাকা পাচার (মানি লন্ডারিং) করে বলে দাবি সিআইডির।

Also Read: আলেশা মার্টের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

Also Read: আলেশা মার্টের কাছে ৭ হাজার গ্রাহকের পাওনা ২৫৮ কোটি টাকা

সিআইডি বলছে, চারটি বেসরকারি ব্যাংকে আলেশা মার্টের চারটি ব্যাংক হিসাব থেকে ৪২১ কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ৩১ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ কেনা হয়েছে। ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২৫ আগস্টের মধ্যে এই সম্পদ কেনা হয়।

মঞ্জুরের ২০২০-২১ অর্থবছরের আয়কর বিবরণীর তথ্য তুলে ধরে সিআইডি বলছে, বেতন ও আনুষঙ্গিক মিলে তাঁর আয় ছিল মাত্র ১৩ লাখ ৯০ হাজার। অথচ সাত মাসের ব্যবধানে তিনি ৩১ কোটি টাকার সম্পদ কেনেন।