ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সাইফুল ইসলামসহ এই চারজনকে আটক করেন সেনাসদস্যরা
ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সাইফুল ইসলামসহ এই চারজনকে আটক করেন সেনাসদস্যরা

থানা থেকে হান্নান মাসউদের ছাড়িয়ে নেওয়া সেই সাইফুলসহ ৪ জন চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার

ধানমন্ডিতে গত মে মাসে একজন প্রকাশকের বাসা ঘিরে মব সৃষ্টির ঘটনায় আটক হয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোহাম্মদপুর থানার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বিসহ তিনজন। তখন থানায় গিয়ে নিজের জিম্মায় তাঁদের ছাড়িয়ে নিয়েছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ।

সেই সাইফুল ইসলামসহ (২৮) মোহাম্মদপুর এলাকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চারজনকে গতকাল একটি হাসপাতালে চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোহাম্মদপুরের বছিলা হাউজিং সিটি এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। গ্রেপ্তার অপর তিনজন হলেন হাসিবুর রহমান ফরহাদ (৩১), আবদুর রহমান মানিক (৩৭) ও আবু সুফিয়ান (২৯)।

পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা পরিচয় দিয়ে বছিলা এলাকার ‘সেফ হাসপাতালে’ গিয়ে তিন লাখ টাকা দাবি করেন। মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী রফিক প্রথম আলোকে বলেন, চাঁদাবাজির এ ঘটনায় সেনাবাহিনী চারজনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। স্থানীয় একটি হাসপাতালের মালিক তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আগে রাব্বির (সাইফুল ইসলাম) নামে আরও একটি চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের সেফ হাসপাতালে একটি মৃত শিশু জন্মগ্রহণকে কেন্দ্র করে সমন্বয়ক পরিচয়ে কয়েকজন এসে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় হাসপাতালমালিকের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান তাঁরা। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেনাবাহিনীকে ফোন করলে সেনাসদস্যরা গিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

এর আগে গত ১৯ মে রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীরা ধানমন্ডিতে হাক্কানী পাবলিশার্সের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার বাসা ঘেরাও করেন। তখনো সাইফুলসহ কয়েকজনকে আটক করেছিল পুলিশ। পরদিন এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ থানায় গিয়ে মুচলেকা দিয়ে তাঁদের ছাড়িয়ে নেন।