Thank you for trying Sticky AMP!!

পলাতক দুই আসামিকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির আদেশ

মাহমুদা খানম

সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যা মামলায় পলাতক দুই আসামিকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল হালিম এ আদেশ দেন। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।

পলাতক দুই আসামি হলেন মো. কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা ও মো. খাইরুল ইসলাম ওরফে কালু।

Also Read: স্ত্রী খুনের মামলায় বাবুলসহ সাতজনের নামে অভিযোগপত্র

মামলায় বাবুলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া অভিযোগপত্র গত ১০ অক্টোবর গ্রহণ করেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার পলাতক আসামি মুছা ও কালুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

পুলিশ কর্মকর্তা কামরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, পলাতক দুই আসামির ঠিকানায় গিয়ে তাঁদের খুঁজে পায়নি পুলিশ। এ কারণে মামলার বিচারকাজ শুরুর আগে আসামিদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

তবে মুসার স্ত্রী পান্না আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার সপ্তাহখানেক পর তাঁর স্বামীকে ডিবি পুলিশ পরিচয় ধরে নেওয়া হয়। তার পর থেকে স্বামীর খোঁজ পাচ্ছেন না তিনি।

২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় মাহমুদাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন ৬ জুন মাহমুদার স্বামী বাবুল বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন।

Also Read: স্ত্রীকে হত্যা করতে খুনিদের তিন লাখ টাকা দেন বাবুল

পরে স্ত্রী খুনের মামলায় বাবুলকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। পিবিআইয়ের অভিযোগপত্রে বাবুলকে প্রধান আসামি করা হয়। তিনি ছিলেন এই মামলার বাদী।

অভিযোগপত্রভুক্ত অপর চার আসামি হলেন এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন ও শাহজাহান মিয়া।
অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের মধ্যে বাবুল, ওয়াসিম, শাহজাহান ও আনোয়ার কারাগারে। এহতেশামুল জামিনে। মুছা ও কালু শুরু থেকেই পলাতক।

পিবিআইয়ের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থাকাকালে বাবুলের সঙ্গে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক নারী কর্মকর্তার সম্পর্ক হয়। এ সম্পর্কের জেরে বাবুলের পরিকল্পনায় মাহমুদাকে খুন করা হয়। এ জন্য বাবুল সোর্সের মাধ্যমে তিন লাখ টাকায় খুনি ভাড়া করেন।

Also Read: স্ত্রী হত্যা মামলার বাদী বাবুল যেভাবে প্রধান আসামি হলেন