Thank you for trying Sticky AMP!!

আ.লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তাঁর দুই স্ত্রী

পাবনা জেলার মানচিত্র

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে তাঁর দুই স্ত্রী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। চতুর্থ ধাপে ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনে বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খানমরিচ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে মোট পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, তাঁর দুই স্ত্রী, একজন বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং একজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন।

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নুরুন নবী। তাঁর বিপক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়া প্রথম স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম এবং দ্বিতীয় স্ত্রী নাসিমা খাতুন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুন নবী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের লক্ষ্যে তিনি ছয় মাস আগে চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। গত রোববার তাঁর দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি তাঁর দুই স্ত্রীও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। আজ দুপুরে নুরুন নবী দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দেন। হঠাৎ করে বিকেলে তাঁর দুই স্ত্রীও মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন। এরপর প্রথমে প্রথম স্ত্রী ও পরে দ্বিতীয় স্ত্রী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এলাকাবাসী জানান, প্রথম স্ত্রীর বর্তমান থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় বিয়ে করায় দুই স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ রয়েছে। ফলে তাঁরা স্বামীকে শায়েস্তা করার জন্যই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এলাকাবাসী জানান, প্রথম স্ত্রীর বর্তমান থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় বিয়ে করায় দুই স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ রয়েছে। ফলে তাঁরা স্বামীকে শায়েস্তা করার জন্যই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগে দুই স্ত্রীর ঝামেলা না মিটলে তাঁরা স্বামীর বিপক্ষে ভোট করবেন বলেও লোকজন বলছেন।

এ প্রসঙ্গে কথা বলতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুন নবীর দুই স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাঁদের পাওয়া যায়নি। তাঁদের মুঠোফোন নম্বরে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুন নবী দাবি করেন, ‘কোনো বিরোধ নয়, বিশেষ কিছু কারণেই নিজের সঙ্গে দুই স্ত্রীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আমি অনেক চিন্তাশীল মানুষ। ভেবেচিন্তে নিজেই কাজটি করেছি।’