কৃত্রিমভাবে ফোটানো ২৮টি অজগরের বাচ্চা সীতাকুণ্ড ইকোপার্কে অবমুক্ত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্কে অজগরের বাচ্চা অবমুক্ত করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে।
 ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ইনকিউবেটরে জন্ম নেওয়া অজগরের ২৮টি বাচ্চা সীতাকুণ্ডের বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্কে অবমুক্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বাচ্চাগুলো অবমুক্ত করা হয়।

দেশে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কৃত্রিম উপায়ে অজগরের বাচ্চার জন্ম হলো। এর আগে ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় প্রথমবারের মতো এ প্রক্রিয়ায় ২৬টি বাচ্চা জন্ম নেয়।

অজগরের বাচ্চা অবমুক্ত করার সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার সদস্যসচিব ও চা বোর্ডের উপসচিব রুহুল আমিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হোসেন, ডেপুটি কিউরেটর শাহাদাত হোসেন, ইকোপার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আলমগীরসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।

ডেপুটি কিউরেটর শাহাদাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা বাচ্চা ফোটানোর উদ্দেশ্যে অজগরের ৩১টি ডিম সংগ্রহ করে ইনকিউবেটরে রাখেন। ৬৭ দিন রাখার পর গত ২২ জুন ২৮টি ডিম থেকে বাচ্চা ফোটে। আজ বুধবার সেগুলো ইকোপার্কের জঙ্গলে অবমুক্ত করা হয়। ছাড়ার সময় বাচ্চাগুলোর দৈর্ঘ্য ছিল ২ ফুট করে।

শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, ২০১৯ সালে ফোটানো বাচ্চাগুলো সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি ইউনিয়নের গহিন পাহাড়ে অবমুক্ত করা হয়। ভবিষ্যতেও এভাবে অজগরের বাচ্চা ফুটিয়ে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করার পরিকল্পনা আছে।

সীতাকুণ্ড বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আলমগীর বলেন, অজগরের বাচ্চাগুলো পার্কের ফটক থেকে এক কিলোমিটার দূরে সুপ্তধারা ঝরনার কাছে ছড়ায় অবমুক্ত করা হয়। অজগরের বাচ্চাগুলোর বেঁচে থাকার জন্য খাবারের তেমন অভাব হবে না বলে জানান তিনি।

এ ঘটনাকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার সাফল্য উল্লেখ করে সদস্যসচিব রুহুল আমিন বলেন, মানুষের উপদ্রব নেই, এমন স্থানে অজগরের বাচ্চাগুলো অবমুক্ত করা হয়েছে। বাচ্চাগুলো নিজেরা শিকার করতে শুরু করেছে। কিছু বাচ্চা অন্য জন্তুর শিকারও হতে পারে।