
গাইবান্ধায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ নেতা আশিকুর রহমান ওরফে রকি (২২) খুনের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে নিহত ব্যক্তির বড় ভাই আতিকুর রহমান সরকার বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা করেন।
মামলার এজাহারে চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং ছয় থেকে সাতজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এরপর দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আশিকুরকে আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় সোহেল ও প্লাবনের ওপরও হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
গতকাল রোববার রাতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর খুন হন। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা দুই বন্ধু সোহেল মিয়া (৩০) ও প্লাবন (৩২) আহত হন। রাত ১০টার দিকে গাইবান্ধা জেলা শহরের পূর্বপাড়া হালিম বিড়ি ফ্যাক্টরির সামনে এ ঘটনা ঘটে। আশিকুর উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের মধ্য কঞ্চিপাড়া গ্রামের মৃত সৈদার রহমানের ছেলে। তিনি ২০১৫ সাল থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রাতে আশিকুর গাইবান্ধা শহর থেকে ওষুধ কিনে দুই বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁরা গাইবান্ধা-বালাসি সড়কের পূর্বপাড়া হালিম বিড়ি ফ্যাক্টরির সামনে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাঁদের পথরোধ করে। এরপর দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আশিকুরকে আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় সোহেল ও প্লাবনের ওপরও হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এরপর স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক আশিকুরকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনায় আহত আশিকুরের দুই বন্ধু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
খুনের পর ১৬ ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মো. মাহফুজার রহমান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, মামলা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক। প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।