চট্টগ্রামে মহাধুমধামে 'কিআনন্দ' উৎসব শুরু

কিশোর আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ষষ্ঠবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে লাভেলো-কিআনন্দ উৎসব। চট্টগ্রাম নগরের নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ে আয়োজিত এ উৎসবে উপস্থিত ছিল কিশোর-কিশোরীরা। ছবি- জুয়েল শীল
কিশোর আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ষষ্ঠবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে লাভেলো-কিআনন্দ উৎসব। চট্টগ্রাম নগরের নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ে আয়োজিত এ উৎসবে উপস্থিত ছিল কিশোর-কিশোরীরা। ছবি- জুয়েল শীল

প্রথমে জাতীয় সংগীত, এরপর বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন। চলছে কথামালা, গান আর নৃত্য। ফাঁকে ফাঁকে কিশোরদের জন্য নানা প্রতিযোগিতা। এভাবেই কিশোর সাময়িকী মাসিক কিশোর আলোর উদ্যোগে আজ শুক্রবার চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দিনব্যাপী উৎসব ‘লাভেলো-কিআনন্দ ২০১৮’। পথচলার ছয় বছর উদ্‌যাপন উপলক্ষে এ আয়োজন।

সকাল সাড়ে নয়টায় নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে বেলুন উড়িয়ে এই আনন্দ আয়োজনের উদ্বোধন করেন অতিথিরা। অতিথিদের মধ্যে ছিলেন কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী এস আই টুটুল, লাভেলোর চিফ স্ট্র্যাটেজিক অফিসার রাজীব হাসান, গীতিকার কবির বকুল, চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক, ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট জয়িতা ব্যানার্জি। এর আগে অভ্যুদয় সংগীতাঙ্গনের শিল্পীরা পরিবেশন করেন জাতীয় সংগীত।

উদ্বোধন শেষে বিশ্বজিৎ চৌধুরীর সঞ্চালনায় শুরু হয় কথামালা। উদ্বোধনী বক্তব্যে আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা কিশোর আলো করি বাংলাদেশকে সুন্দর করার জন্য, কিশোরদের সুন্দর করার জন্য। কাউকে ফুল দিয়েও টোকা দেওয়া যাবে না। তোমরা কিশোরেরা যদি সুন্দর হও, তবেই বাংলাদেশ সুন্দর হবে।’

এস আই টুটুল উপস্থিত কিশোর-কিশোরীর উদ্দেশে বলেন, ‘সামনে এত আলো ঝিকমিক করছে, তাকাতেই পারছি না। এই আলো দেখে আমার মনে হচ্ছে, বাংলাদেশকে কেউ আর থামাতে পারবে না। এই আলোগুলো সারা বিশ্বকে আলোকিত করবে।’

রাজীব হাসান বলেন, ‘প্রথম আলো ও কিশোর আলোর সঙ্গে অনুষ্ঠান করতে পেরে আমরা গর্বিত। আমাদের যখন কিশোর বয়স ছিল, তখন আমরা কিশোর আলো পাইনি। ফলে অনেক কিছু জানতে পারিনি। তোমরা কিশোরেরা অনেক ভাগ্যবান। কিশোর আলো পড়লে তোমরা মানুষকে ভালোবাসতে পারবে।’
বিজয় বসাক সবাইকে মাদক, জঙ্গি ও বাল্যবিয়েকে না বলার শপথ পাঠ করান। যেকোনো প্রয়োজনে তিনি ৯৯৯ এ ফোন করতে সবাইকে উৎসাহিত করেন।

উৎসবের ফাঁকে ছবি তুলছেন অতিথিরা। ছবি: জুয়েল শীল

জয়িতা ব্যানার্জি বলেন, ‘প্রথম আলো আমার জীবন বদলে দিয়েছে। ছোটকাল থেকেই কিশোর আলো পড়ি। এটি আমার মনের আলো খুলে দিয়েছে।’

কথামালার পরই শুরু হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায়। প্রথম পর্বের আয়োজনের এক ফাঁকে কিশোর আলোর সহসম্পাদক দলের সদস্যরা শোনাবেন সাত বছরে পা দেওয়ার গল্প। এ ছাড়া থাকছে স্কুল পারফরম্যান্স, আবৃত্তি, গান, কবিতা-ছড়া পাঠ, নাচ, কসপ্লে পাপেট শো।

আয়োজনের দ্বিতীয় পর্বের আসর শুরু হবে বেলা আড়াইটায়। শুরুতেই থাকবে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনা। এরপর মঞ্চে থাকবে রাজীব বসাকের জাদু। এস আই টুটুল ও বে অব বেঙ্গলের পরিবেশনা।

এই আনন্দ আয়োজন সবার জন্য উন্মুক্ত। তবে সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে গত ছয় মাসের যেকোনো একটি কিশোর আলো।