Thank you for trying Sticky AMP!!

১৬ মাসের শিশু ও একটি বাচ্চা সাপ নিয়ে চাঞ্চল্য

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ১৬ মাস বয়সী শিশুর কামড়ে একটি সাপের বাচ্চা মারা গেছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। আজ মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর শিশুটিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শিশুটির শরীরে সাপের কামড়ের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তাই তাকে হাসপাতালে তিন ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রেখে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

শিশুটির মা সাংবাদিকদের জানান, আজ সকালে শিশুটি তার সমবয়সী চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে ঘরের ভেতর খেলছিল। খেলতে খেলতে তারা দুজনই একটি খাটের নিচে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর শিশুটি প্রায় এক ফুট দৈর্ঘ্যের একটি মৃত সাপের বাচ্চা মুখে করে খাটের নিচ থেকে বেরিয়ে আসে। তিনি বলেন, তাঁর মেয়ের শরীরে কোথাও সাপের দংশনের চিহ্ন ছিল না। তবু বিষক্রিয়ার আশঙ্কায় স্থানীয় এক কবিরাজের কাছে মেয়েকে নিয়ে যান। ওই কবিরাজের পরামর্শে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সকাল পৌনে ১০টার দিকে স্বজনেরা শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর সাপের কামড়ের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, বিষক্রিয়ার আশঙ্কায় শিশুটিকে তিন ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। পরে দুপুরে শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পরিবেশবিদ বখতিয়ার হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, মারা যাওয়া সাপটির নাম ‘ঘরগিন্নি’ (কমন উলফ স্নেক)। এটি সম্পূর্ণ বিষহীন সাপ। সাপটি সদ্য ভূমিষ্ট হওয়ায় অল্প আঘাতেই মারা গেছে। তিনি বলেন, একটি পূর্ণবয়স্ক সাপ সর্বোচ্চ দেড় ফুট লম্বা হয়। সাধারণত টিকটিকি খাওয়ার জন্য এই সাপ ঘরে ঢোকে।