Thank you for trying Sticky AMP!!

জাহাজের ইঞ্জিন বিকল, সাগরে আটকা ২০৫ পর্যটক ফিরলেন স্পিডবোট–ট্রলারে

সাগর পাড়ি দিয়ে সেন্টমার্টিন যাচ্ছে জাহাজটি।

ইঞ্জিন বিকল হয়ে ২০৫ জন পর্যটকসহ বঙ্গোপসাগরে আটকা পড়েছে সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফগামী একটি জাহাজ। আড়াই ঘণ্টা সাগরে আটকা থাকার পর জাহাজটির যাত্রীদের স্পিডবোট ও ট্রলারে করে সেন্ট মার্টিনে ফেরত নেওয়া হয়। তবে এস টি শহীদ সালাম নামের জাহাজটি এখনো সাগরে আটকা পড়ে আছে।

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইউএনও বলেন, জাহাজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। জাহাজে থাকা পর্যটকদের নিরাপদে সেন্ট মার্টিনে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জাহাজটি ২২৯ জন পর্যটক নিয়ে টেকনাফের দমদমিয়া বিআইডব্লিটিএ বন্দর থেকে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা করে। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সেন্ট মার্টিন জেটিঘাট থেকে ২০৫ জন পর্যটক নিয়ে ফেরার পথে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। জাহাজটি সন্ধ্যা ৬টায় টেকনাফের দমদমিয়া ঘাটে পৌঁছানোর কথা ছিল। জাহাজটি ওই স্থানে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে আটকে রয়েছে। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে স্পিডবোট ও ট্রলারে করে পর্যটকদের সেন্ট মার্টিনে ফেরত আনা হয়।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, জাহাজটি বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে দুই শতাধিক পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিন জেটি থেকে টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার ১৫ মিনিট পরই ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে স্পিডবোট ও ট্রলারে করে পর্যটকদের উদ্ধার করে সেন্ট মার্টিনে নিয়ে আসেন।

প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে জাহাজের নাবিকেরা ইঞ্জিন মেরামতে ব্যর্থ হন। এ সময় জাহাজের অনেক নারী ও শিশু ভয়ে কান্নাকাটিও করে।
সাদেকুর রহমান, ভুক্তভোগী পর্যটক

ওই জাহাজে থাকা রাজশাহীর একটি বেসরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাদেকুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, সেন্ট মার্টিন জেটি থেকে ছেড়ে আসার কিছুক্ষণ পর জাহাজটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে জাহাজের নাবিকেরা ইঞ্জিন মেরামতে ব্যর্থ হন। এ সময় জাহাজের অনেক নারী ও শিশু ভয়ে কান্নাকাটিও করে। জাহাজটিতে দুই শতাধিক পর্যটক ছিলেন।

এস টি শহীদ সালাম জাহাজের টেকনাফের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ করিম বলেন, রোববার সকালে জাহাজটি চলতি মৌসুমের শুরুতেই ২২৯ জন পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে রওনা হয়। কিছু যাত্রী রাতযাপনের জন্য সেন্ট মার্টিনে অবস্থান করেন। অন্য দুই শতাধিক পর্যটক নিয়ে বিকেলে ফেরার পথে জাহাজের ইঞ্জিন (গিয়ার) বিকল হয়ে পড়ে। বিকল হয়ে পড়ায় ইঞ্জিন চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে।

চলতি মৌসুমের ২৬ নভেম্বর এমভি ফারহান ক্রুজ নামের আরও একটি জাহাজ সাড়ে পাঁচ শতাধিক পর্যটক নিয়ে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে ডুবোচরে আটকা পড়েছিল।