Thank you for trying Sticky AMP!!

ডাকসু ভবনে নুরুলদের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হকসহ তাঁর সংগঠনের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ সোমবার এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির প্রধান হলেন কলা অনুষদের ডিন আবু মো. দেলোয়ার হোসেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট সুপ্রিয়া সাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য অসীম সরকার, স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রভোস্ট মো. মহিউদ্দিন, সিন্ডিকেট সদস্য মিজানুর রহমান ও সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ মাঈনুল করিম।

ছয় কর্মদিবসের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কমিটির কাছে অনুরোধ করা হয়েছে।

গতকাল রোববার দুপুরে ডাকসু ভবনের নিজ কক্ষে নুরুলের ওপর হামলা চালান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতা-কর্মীরা। এ সময় নুরুলের সঙ্গে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও কয়েকটি কলেজের কয়েকজন ছাত্রসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।

ঘটনার প্রায় ৪৫ মিনিট পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী নুরুলসহ আহত ছাত্রদের ডাকসু ভবন থেকে উদ্ধার করে সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এদের মধ্যে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা তুহিন ফারাবী কয়েক দফা মারধরের শিকার হন। তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। আজ সোমবার তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ার পর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নিয়ে আসা হয়।

ঘটনার সময় হামলাকারীরা পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক এ পি এম সুহেলকে ডাকসু ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেন। সুহেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ ছাড়া হামলায় আহত নুরুলের ভাই আমিনুর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে চিকিৎসাধীন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুই দফায় নুরুল হক ও তাঁর সহযোগীদের রড, লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। প্রথম দফায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ডাকসু ভবনে ঢুকে তাঁদের পেটান। এরপর সনজীত ও সাদ্দাম ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় হামলা ও মারধর করা হয়। এ সময় ডাকসু ভবনেও ভাঙচুর চালান ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী।