
নীলফামারীতে আজ রোববার তিস্তা নদীর পানি কমে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় প্রায় ১০ হাজার পরিবারের বাড়িঘর থেকে পানি নেমে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রমতে, লালমনিরহাট জেলার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজের ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ মিটার। আজ সকাল ৬টায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরে দুপুর ১২টায় তা আরও ১৫ সেন্টিমিটার কমে যায়। এর আগে শুক্রবার সকাল ৯টায় সেখানে পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে।
স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি চরাঞ্চলের ১০ হাজার পরিবারের বাড়িঘরে ওঠা পানি নেমে গেছে।
এদিকে নদীভাঙা মানুষ তিস্তা নদীর ডান তীরের বাঁধসহ বিভিন্ন উঁচু স্থানে অস্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য টিনের চালার ঘর তুলছেন। গত ৩০ আগস্ট তিস্তা ব্যারাজের ভাটিতে ভেন্ডাবাড়িতে অবস্থিত পাউবোর ২ নম্বর স্পার বাঁধটি ভেঙে যায়। এতে ইউনিয়নের ভবনচুর, দক্ষিণ সোনাখুলি, ভেন্ডাবাড়ি ও কুটিপাড়া গুচ্ছগ্রাম প্লাবিত হয়। তলিয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি।
ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমিনুর রহমান বলেন, রোববার তিস্তার পানি নেমে গেলেও ছাতুনামা ও ভেন্ডাবাড়ি চরে শতাধিক পরিবারের বাড়িঘরে এখনো পানি রয়েছে। তলিয়ে আছে চলাচলের রাস্তা ও ফসলি জমি। কুটিপাড়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের চলাচল করতে হচ্ছে সাঁতরে অথবা নৌকায়।
পাউবো ডালিয়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা বলেন, তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।