Thank you for trying Sticky AMP!!

দা নিয়ে তাড়া করে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

হত্যা

মাগুরা সদর উপজেলায় রোববার দা নিয়ে তাড়া করে বাড়ির উঠানে গিয়ে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় যুবকের বাবাসহ কয়েকজন থাকলেও কেউ বাধা দেওয়ার সাহস পাননি। বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করেছে পরিবার।

নিহত ব্যক্তি হলেন সাচানি গ্রামের মো. মাসুদ মোল্লা (৩০)। মাসুদ পেশায় অটোচালক।

জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. রফিকুল আহসান বলেন, বেলা ১১টার দিকে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে অস্ত্রোপচারকক্ষে পাঠানো হয়। কিছুক্ষণ পর সেখানেই মারা যান তিনি। তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত দেখা গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

এক বছরের বেশি সময় ধরে গ্রামের একটি পক্ষের সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলছিল। এর জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
দাউদ মোল্লা, নিহত মাসুদ মোল্লার বাবা

পরিবারের সদস্য ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার সকাল ১০টার দিকে বাড়ির পাশে দোকানে বসে ছিলেন মাসুদ। এ সময় একই গ্রামের কাজল মিয়া (২৮) ধারালো দা নিয়ে মাসুদকে তাড়া করেন। মাসুদ দৌড়ে নিজদের বাড়ির উঠানে গিয়ে পড়ে যান। সেখানেই মাসুদকে কুপিয়ে পালিয়ে যান কাজল। এ সময় সেখানে মাসুদের বাবা দাউদ মোল্লাসহ কয়েকজন থাকলেও ভয়ে কেউ কাজলকে বাধা দেওয়ার সাহস পাননি। তাঁরা মাসুদকে আহত অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে মাসুদ মারা যান।

মাসুদের বাবা দাউদ মোল্লা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এক স্বজনের লাশ দাফন করে আজ তিনি ঝিনাইদহ থেকে বাড়ি ফেরেন। সকাল ১০টার দিকে চিৎকার শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে কাজলকে দা দিয়ে মাসুদকে কোপাতে দেখেন। তিনি বলেন, ‘এক বছরের বেশি সময় ধরে গ্রামের একটি পক্ষের সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলছিল। এর জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য চেষ্টা করেও কাজল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

জানতে চাইলে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদিন বলেন, পরিবারের দাবি, বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তা অনুসন্ধান করছে পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তি পলাতক। তাঁকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।