
মো. মাহফুজ হাসান (১১) মেধাবী ছাত্র। আনন্দ আর উল্লাসে মাতিয়ে রাখত সবাইকে। বছরখানেক আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তারি পরীক্ষায় ধরা পড়ে সে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। কিন্তু অর্থাভাবে দরিদ্র বাবা মো. আমিনুল ইসলাম তখন ছেলেটির চিকিৎসা করাতে পারেননি। সেই সঙ্গে থেমে গেছে তার সব চঞ্চলতাও।
ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা করাতে না পেরে ফুটফুটে শিশু মাহফুজ হাসান ধীরে ধীরে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তার ফুসফুসই আক্রান্ত হয়। পচন ধরেছে এর একাংশে। এখন স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছে না সে। ভারী কিছু খেলেই করছে বমি। মুখ গড়িয়ে বেরিয়ে আসছে পচা রক্ত।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মাহফুজের দ্রুত অস্ত্রোপচার ও আইসিইউতে রেখে চিকিৎসার প্রয়োজন। এ জন্য দরকার অন্তত দুই লাখ টাকা।
ছেলেটির বাবা বিজিবির সাবেক সৈনিক ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, তিনি নিজেও গুরুতর অসুস্থ। এক দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে অন্যের সাহায্য ছাড়া হাঁটতে পারেন না। বাসায় তিনি আর অসুস্থ বাচ্চাটা ছাড়া আর কেউ নেই। কে কাকে দেখবে? বাবা–ছেলে দুজনেরই যে মরার অপেক্ষা। ছেলেটাকে একা রেখে সাহায্যের জন্য কারও কাছে যেতেও পারছেন না তিনি।
আমিনুল ইসলাম বলেন, তাঁর সহায়–সম্বল কিছুই নেই। যা ছিল ছেলের ফুসফুসের চিকিৎসায় খরচ হয়ে গেছে। ছেলেটা ও তাঁর—দুজনের চিকিৎসাই বন্ধ হয়ে গেছে। তাই চোখের সামনে বিনা চিকিৎসায় মা হারানো একমাত্র সন্তানের যন্ত্রণাকাতর দৃশ্য দেখতে হচ্ছে তাঁকে। এ অবস্থায় অন্তত সন্তানটির চিকিৎসায় সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে সবার প্রতি আকুল আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা: মোসাম্মাৎ লিজা আক্তার, হিসাব নম্বর: এসবি ০০৬১–০৩১০০৩৬৭৫৯, যমুনা ব্যাংক লি. শ্যামলী রিংরোড শাখা, ঢাকা। সহায়তা করা যাবে বিকাশ ও নগদে। নম্বর: ০১৭২৫–৪২৯৪৮৪ (পার্সোনাল)।