Thank you for trying Sticky AMP!!

নির্বাচন কমিশনের ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করলেন মনিরুল হক

মো. মনিরুল হক (সাক্কু)

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল ঘোষণা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. মনিরুল হক (সাক্কু)। ‘ওপর মহলের’ নির্দেশে কমিশন ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর ফল ছিনিয়ে নিয়েছে বলে দাবি তাঁর।

আজ রোববার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ব্যাখ্যার পর সন্ধ্যায় মনিরুল হক প্রথম আলোর কাছে এ দাবি করেন। তিনি বলেন, ফলাফল ঘোষণার সময় বেশির ভাগ গণমাধ্যমকর্মী শিল্পকলা একাডেমিতে ছিলেন। তাঁদের ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনেই সবকিছু ঘটেছে। সেখানে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা ফল ঘোষণা বন্ধ ছিল।

এর আগে কুমিল্লা সিটির নির্বাচন নিয়ে ‘নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি’ এড়াতে কমিশনের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামানের সই করা একটি ব্যাখ্যা গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। নির্বাচনের ফল ঘোষণার চার দিন পর নির্বাচন কমিশনের এ ব্যাখ্যা আসে।

Also Read: কুমিল্লার নির্বাচনের ‘ফলাফল বিতর্ক’ নিয়ে যা বলল নির্বাচন কমিশন

এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক (রিফাত) ৫০ হাজার ৩১০ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মনিরুল হক পান ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। নির্বাচনে আরফানুল হককে ৩৪৩ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

দেশের মানুষ নতুন নির্বাচন কমিশনের কাছে এটা আশা করেননি মন্তব্য করে মনিরুল হক বলেন, ‘তাঁরা (নির্বাচন কমিশন) বাঁচনের লাই এই ব্যাখ্যা দিছে। এভাবে কারও জয় ছিনিয়ে নেওয়া যায়? এটা কুমিল্লাসহ দেশবাসী ও বিশ্ববাসীর কেউ বিশ্বাস করেননি।’

ভোটাররা তাঁকে উজাড় করে ভোট দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন স্বতন্ত্র এই মেয়র প্রার্থী।

Also Read: সন্দেহ হলে রেজাল্ট শিট মিলিয়ে দেখতে পারেন: রিটার্নিং কর্মকর্তা

তিনি বলেন, ‘অনেকে ভেবেছিলেন, আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব না। নির্বাচন থেকে সরে যাব। সরে গেলে কুমিল্লার মানুষ আমাকে খারাপ ভাবতেন। আমার দলীয় নেতা–কর্মী ও ভক্তরা আমাকে অন্য চোখে দেখতেন। পুরো প্রচারণায় জয়ের বিষয়ে আমি কনফিডেন্ট ছিলাম। একলা একলা দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চেয়েছি। দোয়া চেয়েছি। মানুষ ভোট দিয়েছে। আর ওরা (কমিশন) আমার জয়টা ছিনিয়ে নিল। মানুষ কমিশনের ফল ঘোষণার এমন আচরণে মর্মাহত। দেখতেছেন না, ভোটের পরের কয়টা দিন পুরো শহরটা স্তব্ধ হয়ে রইল।’

Also Read: কুমিল্লার নির্বাচন: শেষ ৪৫ মিনিটে কী ঘটেছিল?

এ বিষয়ে আইনি লড়াইয়ে যাবেন জানিয়ে মনিরুল হক বলেন, ‘আইনজীবীদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। দেখি কী হয়?’

দলেও নেই, মেয়রও নেই, কীভাবে সময় কাটাবেন—জানতে চাইলে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কৃত সাবেক এই মেয়র বলেন,‘আগে সপ্তাহে চার দিন অফিস করতাম। এখন এই চার দিন কুমিল্লার মানুষের সঙ্গে কাটাব। একমাত্র মেয়ে কানাডায় থাকে। আমি কুমিল্লার মানুষের দ্বারে দ্বারে যাব। ঈদের পর বিভিন্ন এলাকায় যাব। মাঠ ছাড়ব না।’

Also Read: বিএনপির ভোট ভাগাভাগি হওয়ায় হারলেন মনিরুল