Thank you for trying Sticky AMP!!

পীরগঞ্জে হামলায় র‍্যাবের হাতে আটক সৈকত মণ্ডল ছাত্রলীগ নেতা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আজ শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব। সেখানে ছিলেন গাজীপুরের টঙ্গী থেকে গ্রেপ্তার হওয়া সৈকত মণ্ডল ও রবিউল ইসলাম

রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দুপাড়ায় হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় র‍্যাবের হাতে আটক সৈকত মণ্ডল (২৪) ছাত্রলীগ নেতা। তিনি কারমাইকেল কলেজের দর্শন বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র। তিনি ওই বিভাগে ছাত্রলীগের কমিটির ১ নম্বর সহসভাপতি। ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট ওই কমিটির অনুমোদন দেন কলেজ ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি সাইদুজ্জামান সিজার ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ আহমেদ।

এদিকে কারমাইকেল কলেজ শাখার পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সৈকত মণ্ডলকে ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ১৮ অক্টোবর তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও এটি আজ শনিবার প্রচার পেয়েছে। কারমাইকেল কলেজ শাখার সভাপতি সাইদুজ্জামান সিজার ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত সৈকত মণ্ডলের বাবা রাশেদুল ইসলাম রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও তাঁর আত্মীয়স্বজন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সৈকতের একজন নিকটাত্মীয় বলেন, সৈকত মণ্ডল ঘটনার দিন দক্ষিণপাড়ায় হিন্দুপল্লিতে অবস্থান করছিলেন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।

এদিকে র‍্যাব জানিয়েছে, পীরগঞ্জের বড় করিমপুরে হিন্দুপাড়ায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সৈকত মণ্ডল (২৪) নামের একজন নেতৃত্ব দেন। ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক মন্তব্য এবং মিথ্যা পোস্টের মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে স্থানীয় লোকজনকে উত্তেজিত করেন তিনি। ঘটনার দিন একটি মসজিদ থেকে মাইকিং করে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে স্থানীয় লোকজনকে জড়ো করেন তাঁর সহযোগী রবিউল ইসলাম (৩৬)। এরপরই হামলা চালানো হয়। আজ দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

র‍্যাব জানায়, সৈকতের বাড়ি পীরগঞ্জে। আর রবিউলের বাবার নাম মো. মোসলেম উদ্দীন। তাঁর বাড়িও পীরগঞ্জে। গতকাল শুক্রবার গাজীপুরের টঙ্গী থেকে সৈকত ও রবিউলকে গ্রেপ্তার করা হয়।