Thank you for trying Sticky AMP!!

পড়া না পারায় ছাত্রকে পিটিয়ে জখমের মামলায় শিক্ষক গ্রেপ্তার

শিশুটির পায়ে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। শনিবার রাতে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা কুঠিরহাট বাজার এলাকা থেকে তোলা

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় পড়া না পারায় এক শিক্ষক তাঁর শিশুছাত্রকে বাঁশের টুকরো দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার কুঠিরহাট জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় করা মামলায় গতকাল রাত সাড়ে নয়টার দিকে কুঠিরহাট এলাকা থেকে মাদ্রাসাটির প্রধান শিক্ষক মো. ইসমাইল হোসেনকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ওই শিশুর নাম আসাদ উল্যাহ (৯)। সে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। শিশুটির মা ফাতেমা আক্তার বাদী হয়ে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষককে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

পুলিশ, পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম কুঠিরহাট মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো. ইসমাইল হোসেন গতকাল বিকেলে পড়া না পারায় মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আসাদ উল্যাহকে বাঁশের টুকরো দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন। পরে মাদ্রাসার একটি কক্ষে আটকে রাখেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে খবর পেয়ে আসাদ উল্যাহর মামা মো. সুমন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ওমর ফারুকসহ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় শিশুটিকে উদ্ধার করেন। পরে কুঠিরহাট বাজারে একটি ক্লিনিকে শিশুটিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

শিশুটির মা ফাতেমা আক্তার অভিযোগ করেন, শিক্ষক ইসমাইল হোসেন পিটিয়ে তাঁর ছেলের বাঁ পা ও হাতের কবজি জখম ও রক্তাক্ত করেছেন। এ ছাড়া তাঁর ছেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে। ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেন তিনি।

কয়েক দিন আগে চার শিশুকে একইভাবে পিটিয়ে আহত করা হলে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়েছে বলে জানান মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নুরুল আলম। এ ঘটনাও সমাধান করে দেবেন বলে ওই ছাত্রের অভিভাবকদের বলেন তিনি।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার ওই শিক্ষককে আজ রোববার দুপুরে আদালতে হাজির করা হবে।