যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দী বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার ঘুঘুমারী শেখপাড়া এলাকার মানুষ
যমুনা নদীর পানি  বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দী বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার ঘুঘুমারী শেখপাড়া এলাকার মানুষ

যমুনায় পানি বাড়ছে

বগুড়ার ৩ উপজেলার ৬৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১২টায় সারিয়াকান্দি উপজেলার মথুরাপাড়া পয়েন্টে যমুনা নদীতে পানি বিপৎসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে বগুড়া জেলার ৬৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

বগুড়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ৯৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ১৬ হাজার ৩২০টি পরিবারের ৬৫ হাজার ৩৮০ জন। যমুনার ঢলে তলিয়ে গেছে ৩৪৭ হেক্টর জমির ফসল। প্লাবিত হয়েছে ২৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দুর্গত এলাকায় ১৭০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

যমুনায় পানি বাড়ায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ি, কাজলা, কর্নিবাড়ি, বোহাইল, হাটশেরপুর, চন্দনবাইশা, কামালপুর, কুতুবপুর ও সদর ইউনিয়ন। এ ছাড়া যমুনার পানির কারণে সারিয়াকান্দি উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের রোহদহ থেকে ইছামারা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ মাটির বাঁধ ধসে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মাটির বস্তা ফেলে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাসেল মিয়া বলেন, রোহদহ থেকে ইছামারা পর্যন্ত নির্মিত বাঁধটি কামালপুর ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি গ্রামকে যমুনা নদীর ঢল থেকে রক্ষায় ঢাল হিসেবে কাজ করছে। কিন্তু বাঁধটি ধসে গেলে সহস্রাধিক মানুষকে বসতঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হবে।

ইউএনও আরও বলেন, যমুনায় পানি বাড়ায় উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ১২ হাজার ৭০০ পরিবারের ৫০ হাজার ৮০০ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। দুর্গত এলাকায় ৭০ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।