
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ব্যক্তিগত গাড়ির ধাক্কায় অটোরিকশা থেকে পড়ে তিন বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশুটি এ সময় তার ফুফুর কোল থেকে ছিটকে পড়ে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার ধর্মতীর্থ এলাকায় সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
শিশুর নাম নাহিদা আক্তার। সে উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ গ্রামের আক্তার হোসেনের মেয়ে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ধর্মতীর্থ গ্রামের বাসিন্দা চার বোন মারুফা আক্তার (২০), আরিফা আক্তার (২২), ময়না আক্তার (১৮) ও শ্রাবন্তি আক্তার (১৫) গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে গ্রামের অদূরে ধরন্তী হাওর এলাকায় ঈদ উপলক্ষে বেড়াতে যান। এ সময় তাঁদের সঙ্গে বড় ভাই আক্তার হোসেনের ছোট মেয়ে নাহিদা সঙ্গে ছিল। সন্ধ্যার দিকে ধরন্তী এলাকা থেকে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে চড়ে তাঁরা সবাই বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। পথে গ্রামের কাছাকাছি পৌঁছালে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বেপরোয়া গতির একটি ব্যক্তিগত গাড়ি ইজিবাইকটিকে পেছন দিকে থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মারুফা অক্তার ও তাঁর কোলে থাকা শিশু নাহিদা সড়কের ওপর ছিটকে পড়ে। এ সময় ওই ব্যক্তিগত গাড়ির পেছনের চাকায় পিষ্ট হয় শিশুটি।
চার বোন তাঁদের বড় ভাই আক্তার হোসেনের ছোট মেয়ে নাহিদাকে সঙ্গে নিয়ে ঈদ উপলক্ষে ঘুরতে বেড়িয়েছিল।
স্থানীয় লোকজন মারুফা আক্তার ও নাহিদাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু নাহিদাকে মৃত ঘোষণা করেন। মারুফা আক্তার এখন আশঙ্কামুক্ত।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আজ শুক্রবার ভোরে ওই শিশুর লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের জিম্মায় দাফন করা হয়েছে। ব্যক্তিগত গাড়ি ও অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। শিশুর দাদা উজ্জ্বল মিয়া বাদী হয়ে ব্যক্তিগত গাড়ির চালক যিশু দের (৩৩) বিরুদ্ধে গতকাল রাতে থানায় মামলা করেছেন। ওই চালককে আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।