
করোনাকালে ব্যাটালিচালিত রিকশা ও ইজিবাইকের চালকদের বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি না করে নগরীতে এসব যানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দেবে বলে মনে করছে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইকচালক সংগ্রাম পরিষদ সিলেট সদর শাখা। তাই মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে অবিলম্বে এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
শুক্রবার বিকেলে নগরীর আম্বরখানায় আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান তাঁরা। ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইকসহ ব্যাটারিচালিত বিভিন্ন যানবাহনের ওপর নির্ভরশীল মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষায় সরকারের কাছে তাঁরা পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন।
বক্তারা বলেন, সিলেটসহ দেশের বিভাগীয় ও বড় শহরে অন্তত ৫০ লাখ মানুষ ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইকসহ ব্যাটারিচালিত বিভিন্ন যানবাহনের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। করোনায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণে মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার হচ্ছেন। এ সময়ে এসব যান বন্ধ করে দিলে আরও ৫০ লাখ চালক বেকার ও কর্মহীন হয়ে পড়বেন। তাঁদের ওপর নির্ভরশীল প্রায় আড়াই কোটি মানুষ বা তাঁদের পরিবারও হুমকির মুখে পড়বে বলে তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
সংগঠনটির সভাপতি আবদুল কদ্দুসের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইকচালক সংগ্রাম পরিষদের উপদেষ্টা আবু জাফর, খাদিম নগর ইউপি শাখার সভাপতি রেশাদ আহমদ, মহানগরের আম্বরখানা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম, সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কোরবান আলী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতীয়ভাবে ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইকের নকশা আধুনিকায়ন, ব্রেক ও গতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা, সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়ন ও ব্যাটারি রিকশা, ইজিবাইকসহ যান্ত্রিক যানবাহনের দ্রুত লাইসেন্স প্রদান।
সংগ্রাম পরিষদের সংগঠক প্রণব জ্যোতি পাল মানববন্ধন শেষে প্রথম আলোকে বলেন, পাঁচ দফা দাবি পূরণ করলে অবৈধ ঘোষণা করা এই গণযান আরও জনবান্ধব ও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। দেশের বিভাগীয় ও বড় শহরগুলোতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে তাঁরা আন্দোলনের সূচনা করেছেন বলে জানান তিনি।