ধরা পড়া গন্ধগোকুল। সোমবার মৌলভীবাজার শহরতলির কালেঙ্গা এলাকায়
ধরা পড়া গন্ধগোকুল। সোমবার মৌলভীবাজার শহরতলির কালেঙ্গা এলাকায়

বন্য প্রাণী

মানুষের সেবায় সুস্থ গন্ধগোকুল

মৌলভীবাজারে একদল চা-শ্রমিক ও গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়েছিল একটি গন্ধগোকুল। ধরা পড়ার সময় আহত হয় বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীটি। বাঁচবে কি না, এ নিয়েই শুরু হয় সংশয়। প্রাণীটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় সেভ আওয়ার আনপ্রোটেক্টেড লাইফ (সোল) বন্য প্রাণী সেবাকেন্দ্রে।

মৌলভীবাজার শহরতলির কালেঙ্গায় সোলের কার্যালয়ে ১২ দিনের সেবাযত্নে গন্ধগোকুলটি ধীরে ধীরে গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে প্রাণীটি উদ্ধারের কথা জানানো হয়েছে বন বিভাগের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে।

৮ সেপ্টেম্বর কালেঙ্গাসংলগ্ন দেওরাছড়া চা-বাগানের একদল চা-শ্রমিক ও কালেঙ্গা গ্রামের কিছু মানুষের হাতে গন্ধগোকুলটি ধরা পড়ে। ধরার সময় প্রাণীটি আহত হয়। এতে প্রাণীটি অসুস্থ ও দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন গন্ধগোকুলটি বাঁচবে কি না, এ নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। পরদিন ৯ সেপ্টেম্বর সকালে অসুস্থ অবস্থাতেই প্রাণীটিকে সোলের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। এরপর সেখানে প্রাণীটিকে খাবার ও যাবতীয় সেবাশুশ্রূষা দেওয়া হয়েছে। এতে ধীরে ধীরে গন্ধগোকুলটি চাঙা হয়ে উঠেছে। এই ১২ দিনে মোটামুটি সুস্থ হয়ে গেছে প্রাণীটি।

সোলের তত্ত্বাবধায়ক সাদেক রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গন্ধগোকুলটিকে এই কদিন বেশির ভাগ সময় পেঁপে ও কলা খাওয়ানো হয়েছে। এখন অবস্থা অনেক ভালো। বন বিভাগের লোকজন এলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

গন্ধগোকুলের ইংরেজি নাম Asian palm civet। বৈজ্ঞানিক নাম Paradoxurus hermaphroditus। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) গন্ধগোকুলকে পৃথিবীর বিপন্ন প্রাণীর তালিকাভুক্ত করেছে।

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘গন্ধগোকুলকে উদ্ধারের কথা সোল থেকে আমাকে জানানো হয়েছে। সোল থেকে এটিকে নেওয়ার পর বন বিভাগের জানকীছড়া রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে যাব।’