Thank you for trying Sticky AMP!!

রিমান্ড শেষে দেলোয়ার কারাগারে, ধর্ষণের দায় স্বীকার করেননি

ধর্ষণের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার দেলোয়ার হোসেনকে আদালতে হাজির করা হয়। বিকেলে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনে

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় গৃহবধূকে ধর্ষণের মামলায় দেলোয়ার হোসেনকে পুলিশি হেফাজতে পাঁচ দিনের জিজ্ঞাসাবাদ (রিমান্ড) শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই পাঁচ দিনে তিনি অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে রাজি হননি বলে জানিয়েছেন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা।

আজ মঙ্গলবার মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) দেলোয়ারকে নোয়াখালীর ৩ নম্বর আমলি আদালতে হাজির করে। সেখানে দেলোয়ারের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাশফিকুল হক এ আবেদন নামঞ্জুর করে দেলোয়ারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল মোস্তাফা প্রথম আলোকে বলেন, রিমান্ডে দেলোয়ারকে ধর্ষণের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে তিনি এ বিষয়ে দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হননি।

রিমান্ডে দেলোয়ারকে ধর্ষণের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে তিনি এ বিষয়ে দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হননি।
সিরাজুল মোস্তাফা, এসআই, নোয়াখালী পিবিআই

গত ২ সেপ্টেম্বর বেগমগঞ্জের একলাশপুর গ্রামে ঘরে ঢুকে স্বামীকে বেঁধে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করেন দেলোয়ার ও তাঁর বাহিনীর সদস্যরা। তাঁরা এর ভিডিও চিত্র ধারণ করেন। পরে এই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাঁরা গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় তাঁরা ৪ অক্টোবর ফেসবুকে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেন। এতে ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এতে টনক নড়ে পুলিশের। ওই রাতেই নারায়ণগঞ্জ থেকে দেলোয়ারকে অস্ত্র, গুলিসহ গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

নির্যাতনের ঘটনায় একই রাতে ওই গৃহবধূ দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান সহযোগী নুর হোসেনকে প্রধান করে ৯ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনকে আসামি করে থানায় দুটি মামলা করেন। ওই গৃহবধূ দুই দফায় ধর্ষণের অভিযোগে দেলোয়ার ও তাঁর সহযোগী আবুল কালামের বিরুদ্ধে ১৮ অক্টোবর আরেকটি মামলা করেন। এ মামলায় দেলোয়ারকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই।