Thank you for trying Sticky AMP!!

সাইফুরের সঙ্গে অস্ত্র মামলায়ও গ্রেপ্তার মাহবুবুর

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগের কর্মী সাইফুর রহমানের সঙ্গে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান ওরফে রনিকেও গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
সোমবার মাহবুবুরকে আদালতে হাজির করে চার দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শাহ মো. মাহবুবুর ধর্ষণ মামলার এজাহারে থাকা ৩ নম্বর আসামি।
সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অস্ত্র মামলায় সাইফুরের সঙ্গে মাহবুবুরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য তাঁর বিরুদ্ধে চার দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ওই তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় ছাত্রলীগের ছয় নেতা-কর্মী ও অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। ছাত্রাবাসের ৫ নম্বর ব্লকের ১০৫ নম্বর কক্ষটি দখল করে সাইফুর ব্যবহার করতেন। ২৬ সেপ্টেম্বর ওই কক্ষে অভিযান চালিয়ে একটি পাইপগান, চারটি রামদা ও দুটি লোহার পাইপ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শাহপরান থানার একজন উপপরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা করেন। মামলায় শুধু সাইফুরকে আসামি করা হয়।
পুলিশ জানায়, অস্ত্র মামলা ছাড়া ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার আটজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ২ অক্টোবর প্রথম দফায় সাইফুর, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরদিন শাহ মো. মাহবুবুর রহমানসহ তিনজন ও সবশেষে তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম আদালতে জবানবন্দি দেন।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাহফুজুর তাঁর জবানবন্দিতে বলেছেন, তরুণীকে ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে আসার সময় মাহবুবুর তাঁর মোটরসাইকেলে একটি পাইপগান বেঁধে রেখেছিলেন। পাইপগানটি সাইফুরের ছিল। পরে মাহবুবুর পাইপগানটি ছাত্রাবাসের কক্ষে নিয়ে রাখেন। জবানবন্দিতে আসা এ তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্র মামলায় সাইফুরের সঙ্গে মাহবুবুরের বিষয়ে তদন্ত করে তাঁকে সন্দেহভাজন আসামি করা হয়।
এর আগে ৮ অক্টোবর অস্ত্র মামলায় সাইফুরকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। সাইফুরের পর মাহবুবুরকে মামলা গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়। রাতেই তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।