Thank you for trying Sticky AMP!!

স্ত্রীকে সাত টুকরা করে কাজে যান স্বামী

নিহত রেহানা ও তাঁর স্বামী গ্রেপ্তার হওয়া জুয়েল

গাজীপুর সদর উপজেলার জয়দেবপুর থানাধীন মনিপুর এলাকায় আজ রোববার সকাল থেকেই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। কৌতূহলী হয়ে বিকেলের দিকে স্থানীয় বাড়ির মালিক জাকির হোসেনসহ কয়েকজন একটি ব্যাগ খুঁজে পান। ব্যাগ খুলে বের হয় এক নারীর খণ্ডিত মস্তক। জাকির চিনতে পারেন, ওই নারী তাঁর বাড়িরই ভাড়াটে পোশাককর্মী রেহেনা আক্তার (২০)। কিন্তু তাঁর স্বামী জুয়েল আহমেদকে (২৫) গতকাল সকালেও কারখানায় যেতে দেখা গেছে। ওই সময়ই রেহেনার স্বামী জুয়েল কারখানা থেকে ফিরে এলে স্থানীয় লোকজন তাঁকে আটক করেন। পুলিশকেও ডাকা হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই জুয়েল জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রীকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন তিনি। এরপর বঁটি দিয়ে সাত টুকরা করে কয়েকটি ব্যাগে ভরে কয়েক জায়গায় ফেলে দেন। তাঁর দেখানোমতে মৃতদেহের অন্য টুকরাগুলো আশপাশের জঙ্গল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী জুয়েল গত দুই রাত ওই ঘরেই অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাকিবুল ইসলাম, জয়দেবপুর থানার উপপরিদর্শক

নিহত রেহেনা সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর থানার ইসলামপুর গ্রামের আবদুল মালেকের মেয়ে। তাঁর স্বামী (গ্রেপ্তার) জুয়েলও একই গ্রামের বাছেদ মিয়ার ছেলে। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী দুজনই পোশাক কারখানার শ্রমিক। এক বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। তখন থেকে তাঁরা মনিপুর এলাকায় ঘর ভাড়া করে থাকছিলেন।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁদের মধ্যে কলহ চলছিল। প্রায়ই ঝগড়া–বিবাদ হতো। তুচ্ছ ঘটনায় জুয়েল স্ত্রীকে মারধর করতেন বলে জানান পাশের অন্য ভাড়াটিয়ারা।

জয়দেবপুর থানার উপপরিদর্শক রাকিবুল ইসলাম জানান, স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী জুয়েল গত দুই রাত ওই ঘরেই অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। লাশের টুকরাগুলো উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। গ্রেপ্তারের পর জুয়েল তাঁর স্ত্রীকে সাত টুকরা করে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।