Thank you for trying Sticky AMP!!

হাতিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে তিনজনের মৃত্যু

অগ্নিকাণ্ডে পুড়ছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। সোমবার রাতে নোয়াখালীর হাতিয়ার চেয়ারম্যানঘাটে। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চেয়ারম্যানঘাট এলাকার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুই ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে এবং একজন ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এই ঘটনায় পুড়ে গেছে ঘাটের কমপক্ষে ১৬টি দোকান। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন আগুনের সূত্রপাত হওয়া দোকানটির ব্যবস্থাপক মো. মহিবুল ইসলাম (৩৮), একই দোকানের কর্মচারী রহমত উল্লাহ (৩৫) ও খালেদ উদ্দিন (৪৫)। এর মধ্যে মহিবুল ইসলাম ও রহমত উল্লাহ ঘটনাস্থলেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা যান। আর খালেদ উদ্দিন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার সকালে মারা গেছেন।

দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া মহিবুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, চেয়ারম্যানঘাটের একটি দোকানে জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করা হয়। ওই দোকানের ভেতরে গতকাল রাত ১০টার দিকে গ্যাস সিলিন্ডারে রান্না করা হচ্ছিল। তার পাশেই দোকানের এক কর্মচারী এক ক্রেতাকে জ্বালানি তেল মেপে দিচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ গ্যাসের সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে পুরো দোকানে আগুন ধরে যায়। দ্রুতই আগুন আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সুবর্ণচর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া খালেদ উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

ওসি আবুল খায়ের আরও বলেন, আগুন নেভানোর পর ঘটনাস্থল থেকে দুই ব্যক্তির পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়। তা দেখে পরিচয় শনাক্ত করার উপায় ছিল না। তবে স্থানীয় লোকজন বলেছেন, একজনের নাম মহিবুল ইসলাম, অপরজন নাম রহমত উল্লাহ। মহিবুল ইসলাম অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হওয়া দোকানে ব্যবস্থাপক ছিলেন। আর রহমত একই দোকানের কর্মচারী। এ ছাড়া দোকানের অপর কর্মচারী খালেদ উদ্দিন আগুনে গুরুতরভাবে দগ্ধ হন। তাঁকে উদ্ধার করে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় যে দোকানে, সেটির মালিক হাতিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী। তবে তিনি নিজে এই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন না।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলী। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, মহিবুল ইসলাম তাঁর বিশ্বস্ত কর্মচারী ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনিই ওই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের দেখাশোনা করে আসছিলেন।