
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এক নারীকে (২১) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তিন কিশোরের বিরুদ্ধে। ওই নারীর মা বাদী হয়ে নাসিরনগর থানায় মামলা করার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই তিন কিশোর অপরাধ স্বীকার করেছে।
গৃহবধূর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী গ্রামে ছাগল লালন-পালন করেন। গত বৃহস্পতিবার বেলা তিনটা থেকে বিকেল চারটার দিকে তিন কিশোর ওই নারীর কাছে গিয়ে বলে, তাঁর (নারী) ছাগল চুরি হয়েছে। ছাগল পেতে হলে গৃহবধূকে তাদের সঙ্গে যেতে বলে। এরপর তারা ওই নারীকে একটি পুকুরপাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ওই নারী তাঁর মাকে জানান। মা শুক্রবার রাতেই নাসিরনগর থানায় মামলা করেন। মামলা আমলে নিয়ে নাসিরনগর থানা–পুলিশ শুক্রবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করে। তাদের আদালতের মাধ্যমে টঙ্গীর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।
ওই নারীর মা বলেন, এক মাস আগে তাঁর মেয়ের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের কয়েক সপ্তাহ না যেতেই দুই লাখ টাকা যৌতুকের জন্য স্বামী তাঁকে ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করেন। এর পর থেকে মেয়ে তাঁর বাড়িতে থাকেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত তিন কিশোরের পরিবারের সদস্যদের দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে তাঁদের ছেলেরা কোনোভাবেই জড়িত নয়। কী কারণে তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করা হয়েছে, সেটা তাঁরা বুঝতে পারছেন না।
নাসিরনগর থানার ওসি মাকছুদ আহাম্মদ শনিবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ওই নারী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। কাছের জিনিস কিছুটা ঝাপসা দেখতে পেলেও দূরের কিছুই দেখতে পারেন না। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে।