পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

তিন বছর আগে বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর-লুটপাটের অভিযোগে মামলা

মামলা
প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীতে তিন বছর আগে বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌর মেয়রসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৯৭ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জ্বল বোসকে (৫২) গতকাল শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলার বাদী জেলা বিএনপির কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক (কেয়ারটেকার) মোস্তফা আকন (৩৫)। গত বৃহস্পতিবার রাতে পটুয়াখালী সদর থানায় মামলাটি রুজু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহম্মেদ।

মামলার আসামিদের মধ্যে আছেন, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান, জেলা পরিষদের সাবেক  চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, সাবেক পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ। আওয়ামী লীগের কোনো পদে না থাকলেও সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ, ব্যবসায়ী মিজানুর আলম ও তাঁর ছেলে ইভানকেও আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে এজাহারভুক্ত আসামি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আওয়ামী লীগের পদ-পদবি তো দূরের কথা, কোনো দিন রাজনীতিই করিনি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।’

এজাহারে বাদী মোস্তফা আকন উল্লেখ করেন, ২০২২ সালের ২ মার্চ সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনায় জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা পটুয়াখালী শহরে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন। ওই সময় এজাহারনামীয় আসামিরা সেখানে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান এবং নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালান। পরে তাঁরা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। হামলায় বাদীসহ স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন। পরে তাঁরা একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।