এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ক্রেস্ট ও সনদ হাতে শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা আনন্দ উল্লাস। শনিবার সকালে ঝিনাইদহের জোহান ড্রিম ভ্যালি পার্ক অ্যান্ড রিসোর্টে
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ক্রেস্ট ও সনদ হাতে শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা আনন্দ উল্লাস। শনিবার সকালে ঝিনাইদহের জোহান ড্রিম ভ্যালি পার্ক অ্যান্ড রিসোর্টে

কৃতী সংবর্ধনা

ভালো মানুষ হওয়ার প্রত্যয় শিক্ষার্থীদের

‘তোমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে। শুধু জিপিএ-৫ পেলেই হবে না, একজন ভালো মানুষ হতে হবে। পড়ালেখা শিখে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। তোমরাই একদিন এ দেশের হাল ধরবে। তোমাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।’

শনিবার ঝিনাইদহে প্রথম আলো-শিখো আয়োজিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।

সকাল আটটা বাজার আগেই কৃতী শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানস্থল জোহান ড্রিম ভ্যালি পার্ক অ্যান্ড রিসোর্টের প্রধান ফটকে উপস্থিত হয়। বন্ধুসভার বন্ধুরা দ্রুত ফটকটি খুলে শিক্ষার্থীদের ভেতরে প্রবেশের ব্যবস্থা করেন। মুহূর্তেই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে ভরে যায় গোটা অনুষ্ঠান এলাকা। সারিবদ্ধ দাঁড়িয়ে সনদ, ক্রেস্ট আর নাশতার প্যাকেট নিয়ে চেয়ারে বসে পড়ে শিক্ষার্থীরা।

সকাল ১০টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। প্রথমে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর ঝিনাইদহের নিজস্ব প্রতিবেদক আজাদ রহমান। বন্ধুসভার উপদেষ্টা সাকিব মো. আল হাসানের উপস্থাপনায় অতিথিদের বক্তৃতার ফাঁকে ফাঁকে নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি করেন শিল্পীরা। ঝিনাইদহ জেলায় সর্বমোট ১ হাজার ২২০ জন শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে নিবন্ধন করে। অংশ নেয় হাজারের বেশি কৃতী শিক্ষার্থী।

প্রথমেই সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন প্রথম আলো বন্ধুসভা ঝিনাইদহের সভাপতি হাসান মোহাম্মদ আল ইমরান। এরপর বক্তৃতা জোহান ড্রিম ভ্যালি পার্ক অ্যান্ড রিসোর্টের মালিক মোয়াজ্জেম হোসেন, বন্ধুসভার উপদেষ্টা আবদুল্লাহ আল মাসুম, আগা খান পুরস্কারপ্রাপ্ত স্থপতি খন্দকার হাসিবুল কবীর, ঝিনাইদহ কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সুষেন্দু ভৌমিক, শিক্ষাবিদ এন এম শাহজালাল ও প্রথম আলোর উপসম্পাদক লাজ্জাত এনাব মহছি।

শিক্ষাবিদ এন এম শাহজালাল বলেন, ‘তোমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে। শুধু জিপিএ-৫ পেলেই হবে না, একজন ভালো মানুষ হতে হবে। পড়ালেখা শিখে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।’ স্থপতি খন্দকার হাসিবুল কবীর বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিতে সবাই নেতৃত্ব দেন না, যাঁরা নেতৃত্ব দেন, তাঁরা তোমাদের মধ্যেই আছে। তোমাদের একদিন এ দেশের হাল ধরতে হবে। তোমাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।’

প্রথম আলোর উপসম্পাদক লাজ্জাত এনাব মহছি বলেন, প্রথম আলো শুধু মেধাবীদের সংবর্ধনা দেয় না, যাঁরা অসহায়-দরিদ্র, তাঁদের মেধাবৃত্তি দিয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত দেশে ১ হাজার ২০০ অদম্য মেধাবীর পাশে দাঁড়িয়েছে প্রথম আলো। যাঁদের অনেকেই এখন দেশের বড় বড় পদে যোগদান করে দায়িত্ব পালন করছেন।

শিখোর পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলোর আয়োজনে দেশের ৬৪টি জেলায় কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। এ আয়োজনে সহযোগিতা করছে ফ্রেশ, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা।